Logo
ব্রেকিং :
দৌলতপুরে চকমিরপুর প্রিমিয়ার লীগ টি- ২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন নাগরপুর গণহত্যা দিবস উদযাপন নেত্রকোনায় জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং নেত্রকোনায় গনহত্যা দিবস পালিত চৌহালীতে হাজি আব্দুল মজিদ মন্ডল ফাউন্ডেশনের ইফতার  সামগ্রিক পেয়ে ভাঙ্গন কবলিত মানুষ খুব খুশি  নাগরপুরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে খন্দকার আছাব মাহমুদ নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় ময়ের কোল ফিরে পেল জমজ শিশু নিম্নমানের খোয়ায় হচ্ছে ৬৪ লাখ টাকার সড়ক নির্মাণ, নীরব কর্তৃপক্ষ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের মনিটরিং লিফলেট বিতরণ নাগরপুরে হাজী কল্যাণ মজলিসের মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে শান্তিপূর্ণ র‍্যালি অনুষ্ঠিত 
নোটিসঃ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : আলহাজ্ব এ.এম নাঈমূর রহমান দূর্জয় ,সম্পাদক ও প্রকাশক মো: জালাল উদ্দিন ভিকু,সহ-মফস্বল সম্পাদক মো: জাহিদ হাসান হৃদয়

মেলেনী রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ৪৯ বছর পর মুজিব শতবর্ষে লালপুরের দুই বীরাঙ্গনা পেলেন সংবর্ধনা

রিপোর্টার / ২৬ বার
আপডেট মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ, ২০২০

আশিকুর রহমান,নাটোর প্রতিনিধি:১৭ মার্চ-২০২০,মঙ্গলবার।

স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর মুজিব শতবর্ষে নাটোরের লালপুর উপজেলার দুই বীরাঙ্গনা নারী সংবর্ধনা পেলেন । এদের একজন উপজেলার গোপালপুর পৌর এলাকার গুচ্ছগ্রামের সোহগী (৬৭) ও অপরজন রামকৃষ্ণপুর গ্রামের রোকেয়া বেগম (৬০)। ১৯৭১ সালে পাকহানাদার বাহিনীর হাতে তাদের নির্যাতিত হওয়ার ঘটনা স্থানীয় সকলের জানা। ব্যক্তিগতভাবে দু-একজন সহনুভুতি জানালেও রাষ্ট্রীয়ভাবে বীরাঙ্গনা হিসেবে কোন স্বীকৃতি নেই তাদের। বর্তমানে বীরঙ্গনা সোহাগী মানুষের দোয়ারে দোয়ারে ভিক্ষে করে এবং রোকেয়া বেগম ইটভাটায় কাজ করে জীবন চালায়।
মঙ্গলবার মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নাটোর-১ (লালপর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল বীরঙ্গনা সোহগী (৬৭) ও রোকেয়া বেগমকে (৬০) সংর্বধনা প্রদান করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী, যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদুল হক মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আছিয়া জয়নুল বেনু প্রমুখ।
স্থানীয়রা জানান, বীরঙ্গনা সোহাগী সে সময় গৃহবধু ছিলেন। পাকহানদার বাহিনী বাড়ি থেকে তাকে তুলে নিয়ে ক্যাম্পে নিয়ে আটকে রেখে নিয়ে নির্যাতন চালায়। ঘটনার পর থেকে তিনি মানষিক ভারসম্য হারিয়ে ফেলেন। এখনো তিনি স্বাভাবিক হতে পারেননি। স্বামী মারা যাওয়ার পর প্রায় ২০ বছর ধরে তিনি ভিক্ষা করে জীবন ধারন করছেন।
অপর দিকে পাকহানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে নির্যাতিত যুবতি রোকেয়া বেগমের দেশ স্বাধীনের পর বিয়ে হলেও ঘটনা জানতে পেরে স্বামী তাকে তালাক দিয়ে দেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বীরঙ্গনা সোহাগী ও রোকেয়া বেগমের বীরঙ্গনা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের আহবান জানান বক্তারা।

আশিকুর রহমান


এ জাতীয় আরো খবর
Theme Created By ThemesDealer.Com