কালের কাগজ ডেস্ক:১৫ জানুয়ারী,মঙ্গলবার।
মেহেদী হাসানের বোলিং নৈপুণ্যে সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে হেসে খেলেই জয় পেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
চলতি বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে এ নিয়ে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে তৃতীয় জয় পেল ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়নরা। এই জয়ে ৬ পয়েন্ট অর্জন করল ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বাধীন কুমিল্লা।
৪ ওভারে ২২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে কুমিল্লার জয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন মেহেদী হাসান।
মঙ্গলবার প্রথমে বাটিংয়ে নেমে ৬৮ রানে অলআউট সিলেট সিক্সার্স। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫৩ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় পায় কুমিল্লা।
৬৯ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে মাত্র ১০ রানে এনামুল হক বিজয় ও তামিম ইকবালের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় কুমিল্লা। বিজয় ফেরেন রান আউট হয়ে। তামিম বিভ্রান্ত সোহেল তানভিরের বলে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ইমরুল কায়েসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন শামসুর রহমান শুভ। ৩৪ ও ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন শুভ ও কায়েস।
৬৮ রানে অলআউট সিলেট সিক্সার্স
ঘরের মাঠে চলতি বিপিএলের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই বিপাকে সিলেট সিক্সার্স। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২২ রানে প্রথম সারির সাত ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যাওয়া সিলেট সিক্সার্স শেষ পর্যন্ত ৬৮ রানে অলআউট।
ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাটিং করে যান জাতীয় দলে ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া সিলেটের ক্রিকেটার অলক কাপালি। অষ্টম উইকেটে পেস বোলার তাসকিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে ২৩ রানের জুটি গড়েন কাপালি। এরপর ওয়াহাব রিয়াজের এক ওভারেই ফেরেন তাসকিন ও নাবিল সামাদ।
শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে নামা পেস বোলার আল-আমীন হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় পড়া থেকে বাঁচান কাপালি। দশম উইকেটে তাদের ২১ রানের জুটিতে শেষ পর্যন্ত ১৪.৫ ওভারে ৬৮ রান তুলতে সক্ষম হয় সিলেট।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন কাপালি। কুমিল্লার হয়ে ২২ রানে ৪ উইকেট নেন মেহেদী হাসান। এছাড়া ২.৫ ওভারে ১৫ রানে ৩ উইকেট নেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার ওয়াহাব রিয়াজ।
চলতি বিপিএলে সর্বনিম্ন ৬৩ রানের লজ্জায় পড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। গত ৮ জানুয়ারি মিরপুরে শেরেবাংলায় রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ১২.২ ওভারে ৬৩ রানে অলআউট কুমিল্লা। তবে বিপিএলের ছয় আসরে সর্বনিম্ন ৪৪ রানের লজ্জার ইতিহাস গড়ে খুলটা টাইটানস। ২০১৬ সালে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে এমন লজ্জায় পড়েছিল খুলনা।
মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে কোনো রান নিতে পারেননি ডেভিড ওয়ার্নার।
দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই চমক দেখান মেহেদী হাসান। খুলনায় জন্ম নেয়া ২৪ বছর বয়সী কুমিল্লার এই অফ স্পিনার ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড করেন আন্দ্রে ফ্লেচারকে। এক বল ব্যবধানে একই কায়দায় সিলেটের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারকে ফেরান মেহেদী। ঠিক পরের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন আফিফ হোসেন।
১ ওভারে ৫ রানে ৩ উইকেট তুলে নেন মেহেদী হাসান।
ঠিক পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে মাত্র ৩ রান খরচ করে নিকোলাস পুরানকে ফেরান সাইফউদ্দিন।
দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে হাল ধরতে পারেননি লিটন কুমার দাস ও সাব্বির রহমান রুম্মন। লিটনকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন লিয়াম দাওসন। তার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন সাব্বির রহমান রুম্মন।
মাত্র ১৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে সিলেট সিক্সার্স।
সিলেট সিক্সার্স: ডেভিড ওয়ার্নার, আন্দ্রে ফ্লেচার, নিকোলাস পুরান, অলক কাপালি, লিটন কুমার দাস, সাব্বির রহমান রুম্মন, সোহেল তানভির, আল-আমিন হোসেন, আফিফ হোসেন, তাসকিন আহমেদ ও নাবিল সামাদ।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, ইমরুল কায়েস, শহীদ আফ্রিদি, থিসেরা পেরেরা, শামসুর রহমান শুভ, সাইফউদ্দিন, লিয়াম দাওসন, জিয়াউর রহমান, ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ শহীদ ও মেহেদী হাসান।
কালের কাগজ/প্রতিবেদক/জা.উ.ভি