আব্দুস সামাদ আজাদ মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ঃ০২ মে-২০২০,শনিবার।
লকডাউন এখন শুধু কাগজে আর আদেশেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে শেরপুর সহ আশে পাশে সব বাজারে লকডাউন বলতে কোন কিছু নেই। গুটি কয়েক দোকান বন্ধ থাকলেও অধিকাংশ দোকানপাঠ খোলা। বাজার গুলোতে রীতিমত মানুষের ভীড় লেগে আছে। মনে হচ্ছে- লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। শনিবার ( ২ মে) বিভিন্ন বাজারের এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়- বাজার ফিরে পেয়েছে তার পুরনো চিত্র। রাস্তায় বাড়ছে মানুষের ভীড়। করোনা সংক্রামণের ঝুঁকি জেনেও রাস্তায় বের হচ্ছেন হাজারো মানুষ। ওষুধ এবং মুদি দোকান ব্যতিত এই মুহূর্তে অপ্রয়োজনীয় অন্যান্য দোকান খোলা রাখতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ভিন্ন কৌশলে দোকান চালাচ্ছেন ইলেক্ট্রনিক, কসমেটিক্স, হার্ডওয়্যার, কাপড় ও মুঠোফোনসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা। খাবারের দোকানগুলোও ভেতরে খোলা। সাটার লাগানো, তবে বাইরে থেকে সাটারে হালকা আঘাত করলেই ভেতর থেকে আওয়াজ আসে কি লাগবে। এভাবেই চলছে শেরপুর,সরকারবাজার,লামুয়াবাজার সহ আসপাশের বাজারের দোকানগুলো।
এদিকে কাচাবাজার, পাইকারী ও খুচরা বাজারগুলোতে দেখা যায় মানুষের ভীড়। কেউ মানছেন না শারিরীক দুরত্ব। মুখে মাস্ক নেই। যে যার ইচ্ছামতো কাজ করছেন।
এছাড়া রাস্তাঘাটে রিক্সার পাশাপাশি সিএনজি অটোরিক্সাও চলতে দেখা যায় ।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালাচ্ছে, জরিমানা আদায় করছে। পুলিশ প্রশাসনও জনসচেতনা সৃষ্টির লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে হ্যান্ড মাইকিং করছেন পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্যরা। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা, সরকারী বিধি নিষেধ মেনে চলা, পথচারী-চালক ও যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ত্ব বজায় রেখে চলাচল, মাস্ক ব্যবহার করা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সামগ্রীর ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা ও অতিপ্রয়োজন ছাড়া বাসা-বাড়ী থেকে বের না হওয়ার সতর্ক করছেন।
কিন্তু কোনকিছুই যেন ঠেকানো যাচ্ছেনা জনসমাগম।কোনটাই মানা হচ্ছেনা। যার ফলে- বাড়ছে করোনার ঝুঁকি। লকডাউন ঠিকমতো পালন না করলে, শারিরীক দুরত্ব মেনে চলাফেরা না করলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করবে- এমনটাই আশঙ্কা করছেন স্হানীয়রা।