শরিফুল ইসলাম, নড়াইল প্রতিনিধি:১৮ জুলাই-২০২২,সোমবার।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়া গ্রামের আকাশ সাহার ফেসবুক থেকে মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে এলাকার উত্তেজিত জনতা হিন্দুদের দোকান, বাড়ি ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাত ২শত জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। লোহাগড়া থানার এস আই মাকফুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মিজানুর রহমান জানান। গত রোববার বিকালে দিঘলিয়া বাজার এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, দিঘলিয়া গ্রামের মৃত ইসাহাক মৃধার ছেলে রাসেল মৃধা (৩৮) ও চরমাউলী গ্রামের কবির গাজী (৩২)।
গত রোববার(১৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ দিপালী রানী সাহাকে নগদ ৫হাজার টাকা প্রদান করেন। এসময় তার সাথে ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্ময়কারী জোনায়েদ সাকী, ভাষানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বীরমুক্তিযোদ্ধা ইসতিয়াক আজিজ উলফাতসহ প্রমুখ।
পরে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কোনো স্বজ্জন মুসলমান, সঠিক মুসলমান কারো বাড়িতে আগুন দিতে পারেন না। মুসলমান নাম থাকলেই তিনি মুসলমান হয় না। মুসলমান নাম থাকলেই আল্লাহর বান্দা হয় না। মুসলমান যদি স্বজ্জন মুসলমান না হয়, তবে সে মানুষের অধম। আজকে শুধু সংখ্যালঘু নামের কারণে দরিদ্র মানুষের উপর অত্যাচার চলছে। আমাদের সবাইকে মিলে দরিদ্রতার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে। আমাদের স্বপ্নই ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। এ হামলা ও ভাংচুরের নিন্দা জানাই।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর হামলা, বাড়িঘর-দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের নিন্দা জানাই। এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত। যারা এ ঘৃণিত ঘটনার সাথে জড়িত তাদের শাস্তির দাবি জানাই। আর এ ধরণের হামলা ঘটার পরে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয়। তাই এসব ঘটনা দুর্বৃত্তকারীদের উৎসাহ সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে বিচারটা দ্রুত হওয়া জরুরি। তা না হলে দিন দিন উগ্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।