কালের কাগজ ডেস্ক:০৪ ফেব্রুয়ারী,সোমবার ।
ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম তাদের নির্বাচিত সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুরকে নিয়ে পড়েছে চরম সংকটে। বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং গণফোরাম আলাদাভাবে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাদের নির্বাচিত কোন সংসদ সদস্য শপথ নিবেন না। এই সিদ্ধান্ত অন্যরা মেনে নিলেও যেকোন অবস্থায় শপথ নিতে বদ্ধপরিকর মৌলভীবাজার-২ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।
শপথের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন; গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন প্রবীণ নেতা ও সংবিধান প্রণেতা। তিনি তার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। কিন্তু একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর দলের বর্ধিত সভায় ড. কামাল হোসেন সংসদে যাওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। এখন তিনি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেও আমার নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের কাছে আমার দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকে সংসদে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি বলেন; আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণ শত প্রতিকূলতার মধ্যেও আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। জনগণ চান দায়িত্ব পালনে আমি সংসদে যাই। আর আমার দায়িত্বও হচ্ছে নির্বাচনী এলাকার মানুষের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করা, তাদের পক্ষে ভূমিকা রাখা এবং আমার রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনা ও আদর্শকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো। আর এসব বাস্তবায়নের জন্য একজন এমপি হিসেবে আমাকে শপথ নিতে হবে এবং জাতীয় সংসদে যেতে হবে।
ড. কামাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পল্টনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। ড. কামালের নিকট সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের শপথ নেয়ার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে বলেন; জাতীয় নির্বাচনে আমাদের বিজয়ী প্রার্থীদের কেউই সংসদে যাবেন না। তারা শপথ নেবেন না। প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রের আমন্ত্রণেও ঐক্যফ্রন্ট যাবে না।
তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের এমন মন্তব্যের প্রসঙ্গে সুলতান মনসুর বলেন; ঐক্যফ্রন্ট সিদ্ধান্ত নিলেও সংসদে যাওয়ার ব্যাপারে আমাদের স্বাধীন চিন্তার অধিকার আছে। আমার এলাকার ভোটারদের কথা ভাবতে হবে। আর তাদের প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াত গ্রহণ করে গণভবনে যাওয়া উচিত।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন; ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ শপথ নিলে সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক। ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কেউ শপথ নেবে না।
ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন; বিএনপি শপথ না নিলে শুধু গণফোরামের দুই এমপি শপথ নিলে ফ্রন্ট ভেঙে না গেলেও জোটের বড় ক্ষতি হবে।