কালের কাগজ ডেস্ক: ১৭ মে, ২০২০,রবিবার।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, করোনা সংকটের শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যকর পদপে নিয়েছেন বলেই বাংলাদেশ এখনও বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই সংক্রমণ থেকে কিছুটা ভালো অবস্থানে আছে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের কান্তি লগ্নে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জনগণের জীবন ও জীবিকা সুনিশ্চিত করতে নিঃস্বার্থভাবে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
রবিবার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি আয়োজিত শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এবং বিভিন্ন সংগঠনের মাঝে ত্রাণসামগ্রী ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বিতরণ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যই বাংলাদেশ আজ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত ও পাপমুক্ত করেছেন। শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, মেধা মনন, সৃজনশীলতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এক সময়ের দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত বাংলাদেশ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আজ বাংলাদেশ সুপরিচিত। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার আন্দোলন সংগ্রামে এই ৪০ বছরের চলার পথ ছিল কণ্টকাকীর্ণ, বিপদঙ্কুল। মানুষের মুক্তির জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করার অপরাধে তাকে বারে বারে ঘাতকদের হামলার শিকার ও কারা নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। তার জীবনের উপর বারে বারে হামলা এসেছে। মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে তিনি জীবনের জয়গান গেয়েছেন। তিনি ধ্বংসস্তূপের উপরে দাঁড়িয়ে সৃষ্টির পতাকা উড়িয়েছেন। তিনি বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নীতি ও আদর্শে ছিলেন পিতার মতোই অবিচল, নীরব সাহসী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলার জনগণের ভালোবাসায় অভিসিক্ত হয়ে তিনি টানা তৃতীয়বারসহ চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রপরিচালনার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছেন। শেখ হাসিনা যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তখন এই দেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণে বাস্তবায়ন করেছেন বহুমুখী উদ্যোগ। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের প্রতি তার অগাধ প্রেম ও ভালবাসারই তার রাজনীতির অনুপ্রেরণা।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য একেএম রহমতুল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।