গাজীপুর প্রতিনিধি ৩:৪৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
গাজীপুরের শ্রীপুরে শ্রমিক স্বামীকে হত্যা করে আলামত ও লাশ গুমের উদ্দেশ্যে বটি দিয়ে মরদেহ ৬ টুকরো করেছেন স্ত্রী জীবন্নাহার মেঘনা। পুলিশ এ ঘটনায় ঘাতক স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে।
শনিবার দুপুরে এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন গাজীপুর পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার।
এসপি বলেন, শুক্রবার শ্রীপুর পৌর এলাকার গিলারচালা গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ের ময়লার স্তূপে পড়ে থাকা বস্তার ভেতর থেকে রফিকুল ইসলাম নামের এক যুবকের ৬ টুকরা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জীবন্নাহার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জীবন্নাহার জানান, আর্থিক লেনদেন নিয়ে স্বামীর সঙ্গে তার বিরোধ বাধে। এরই জেরে ঝগড়ার এক পর্যায়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে স্বামী রফিকুল ইসলামকে প্রথমে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ ঘরের ওয়্যারড্রপে লুকিয়ে রাখেন তিনি। লাশের পরিচয় যেন সনাক্ত না হয় সেজন্য রাত ১১টার দিকে মরদেহ বটি দিয়ে পা, হাত ও মাথা কেটে ৬ টুকরো করেন। এক পর্যায়ে মাথা ও হাত ময়লার ড্রামে, শরীর বস্তার ভেতর এবং পা টয়লেটের পাশে ফেলে দেন।
পুলিশ সুপার আরো জানান, পুলিশ স্থানীয়দের দেয়া সংবাদের ভিত্তিতে ওই শ্রমিকের ৬ টুকরো মরদেহ উদ্ধার করে এবং জীবন্নাহারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত রয়েছে কী না পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে। ঘটনার পর নিহতের বাবা আব্দুল লতিফ বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন।
নিহত রফিকুল ইসলামের মাজিয়া আক্তার রোজা নামে ৪ বছরের এক মেয়ে রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
কালের কাগজ/প্রতিনিধি/জা.উ.ভি