মুক্তার হাসান,টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:১৫ সেপ্টেম্বর-২০২২,বৃহস্পতিবার।
টাঙ্গাইলের সখীপুরে কিশোরগ্যাং কর্তৃক কলেজ ছাত্র মাজহারুল হত্যার প্রতিবাদে নিহতের পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলার কালিয়ান বাজারে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে প্রায় ২ সহ¯্রাধিক লোকজন অংশ গ্রহণ করেন। এ সময় মাজহারুলের হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কালিয়ান বিদ্যানিকেত প্রি-ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক সফিকুল ইসলাম, বহেড়াতৈল যুব আন্দোলনের সভাপতি দিদারুল আলম, স্বদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন স্ংস্থার দপ্তর সম্পাদক আমিন আল মামুন, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য জহিরুল ইসলাম গোলাপ, কালিয়ান বাজার বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি আতিকুজ্জামান সবুজ, কালিয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আসলাম সিকদার নভেল, লায়ন ফেরদৌস আলম কলেজের প্রভাষক মো. আবু কাউসার, বহেড়াতৈল পরিষদের সদস্য মোছা. স্বপ্না আক্তার, বীরমুক্তিযোদ্ধা তমছের আলী, ইউপি সদস্য রফিকুজ্জামান(রতন), কালিয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামান, নিহত মাজহারুলের বাবা আ. মালেক, বোন মার্জিয়াসহ প্রমুখ। প্রসঙ্গত, খেলার মাঠে মেয়েদের উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে মো. মাজহারুল ইসলাম(২১) নামের শিক্ষার্থী সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। সে কালিয়ান দক্ষিণ পাড়া এলাকার আ. মালেক মিয়ার ছেলে এবং সরকারি সা’দত কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। এলাকাবাসী জানায়, কালিয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে একটি মাঠে গত শুক্রবার (সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওই এলাকার বিবাহিত বনাম অবিবাহিতদের মধ্যে একটি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। কয়েকজন বখাটে খেলা দেখতে আসা এলাকার মেয়েদের নানাভাবে উত্যক্ত করে। এ সময় মাজহারুল তাদের উত্যক্ত করতে নিষেধ করলে ঘটনাস্থলেই দোহানীপাড়ার বখাটে ইয়ারুল ও তার সহযোগীরা তাকে কিল, ঘুষি মারে। এ ঘটনার সূত্রধরে এরপর খেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে ইয়ারুল ইসলাম(১৮), ছাব্বির আহমেদ(১৭) সহ সাত-আট জন মিলে দেশীয় অস্ত্র লোহার রড ও দা দিয়ে মাজহারুল ইসলামকে বেধড়ক মারধর করে। এ সময় চিৎকার শুনে তার বাবা ও অন্যান্যরা মাজহারুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় সোমবার রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।