কামরুল হাসান জুয়েল, ফরিদপুর থেকে:০৮ এপ্রিল-২০২০,বুধবার।
ফরিদপুরে সাম্প্রতিক করোনাভাইরাসের প্রেক্ষিতে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষ বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য মাইকিং করে কম মূল্যে নিত্য পণ্য বিক্রি শুরু করেছে জেলা যুবলীগ। মুজিব শতবর্ষ পালন উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা আয়োজনের জন্য কর্মীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা টাকায় এসব পণ্য পাইকারী দরে কিনে বিক্রি করা হচ্ছে। শহরের ২৭টি ওয়ার্ডে বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক কম মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি করছেন যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩টি ট্রাকে মানুষের ঘরের সামনে পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। যদিও মাস্ক পরিহিত ছাড়া কারো কাছে তারা পণ্য বিক্রি করছেন না । প্রতিজনের কাছে নির্দিষ্ট পরিমাণেই বিক্রি করছেন। প্রতি কেজি চাল ৩৮ টাকা, ডাল ৭০ টাকা, আলু ১৯ টাকা, পেঁয়াজ ৩২ টাকা, লবণ ১৫ টাকা, ও আটা ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৯৮ টাকা ও ডিম প্রতি হালি ২৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শহরের মাস্টার কলোনীর হায়দার আলী নামে একজন ক্রেতা জানান, তিনি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সড়কের মোড়ে দেখেন একটি ট্রাকে মাইকিং করে বিভিন্ন পণ্য বিক্রির কথা বলা হচ্ছে। ওই ট্রাকে যুবলীগের ব্যানার লাগানো ছিলো। তিনি বলেন, বাজার দরের চেয়ে অনেক কম দামে এখানে নিত্য পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া বাজার থেকে এসব পণ্য পায়ে হেঁটে আনতে অনেক কষ্ট হতো। আর রিকশা পাওয়া যেতো কিনা সন্দেহ। শহরের বিভিন্ন মহল্লায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তুলনামূলক কম মূল্যে এসব পণ্য কিনতে পেরে সাধারণ মানুষ অনেকটাই স্বস্তি পাচ্ছেন। অনেক মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত যারা মানুষের দ্বারে হাত পাততে অভ্যস্ত নন। আবার উচ্চ মূল্যের কারণেও অনেকে চিন্তিত। তাদের জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে। এতে তাদের দুর্ভোগ অনেকটাই কমেছে। নিত্য পণ্য বিশেষ করে চাল, ডাল, তেল, আটার জন্য তাদেরকে বাজার হতে পণ্য কিনে সেসব আনতে বেগ পেতে হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ যুবলীগের এই উদ্যোগকে অসাধারণ বলে মনে করছেন। ফরিদপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এইচএম ফোয়াদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে যুবলীগের নেতাকর্মীরা নিজেদের কাছ থেকে চাঁদা দিয়ে একটি তহবিল করেছিলো। এখন করোনা পরিস্থিতির কারণে যেহেতু সেই অনুষ্ঠান হচ্ছে না তাই আমরা সেই টাকা দিয়েই এভাবে মানুষের দোড়গোড়ায় এসব পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি। এটি কোনো ব্যবসাকেন্দ্রিক চিন্তা ভাবনা নয়। সাধারণ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের সুবিধার্থেই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।