এম,এ,মুছা, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) থেকে :১৬ ফেব্রুয়ারী,শনিবার।
তাঁত শিল্প সমৃদ্ধ সিরাজগঞ্জের (সায়দাবাদ-এনায়েতপুর) আঞ্চলিক সড়কটি অতি ব্যস্ত জনপদ হিসাবে সাড়া দেশে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। ইহার অন্যতম কারণ হিসাবে বিবেচিত হয় এলাকার তাঁত শিল্পের প্রসার।
দেশের যে কোন প্রান্তে গিয়ে নাম শোনা যায় এলাকার। এছাড়াও রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম খাঁজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল এবং খাঁজা বাবা এনায়েতপুরী (রঃ) মাজার শরীফ। বিখ্যাত এই অঞ্চলিক সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে অনেক মুরিদান, রোগী, চিকিৎসক সহ অসংখ্য ছাত্রছাত্রী। সড়কের পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েটি বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার ও সরকারী-বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে ট্রাক, বাস, সিএনজি, অটোভ্যান, রিক্সা, মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। দীর্ঘদিন যাতাযাতে দূর্ভোগ কাটানোর জন্য সরকার ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কের সংস্কার কাজ চললেও কাজের কোন প্রকার গতি নেই। বিভিন্ন স্থানে রাস্তার কার্পেটিং খুরে বালি বের করে রেখেছে। যানবাহন চলাচলের সময় ধুলোবালি উড়তে দেখা যায়, ধুলোবালি নাক-মুখ দিয়ে মানবদেহে প্রবেশ করে নানাবিধ সমস্যায় ভুগছে মানুষ।
সড়ক দিয়ে ধূলাবালির কারণে ৫ ফুট দুরত্বে কি আছে তা চোখে দেখা যায় না। ধূলাবালিতে ঢেকে যায় সমস্ত জায়গা জুড়ে। জনগণ সড়ক দিয়ে চলাফেরা করতে গেলে নাকে মুখে ধূলাবালি দিয়ে ভরে যায়। অজ্ঞাত কারণে মাঝে মাঝে কোথাও কাজ করতে দেখা যায় না সড়কটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটিকে।
পথচারী ও ভ্যান রিক্সায় চলাফেরা করা যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায় তাদের ভোগান্তির কথা। তারা বলেন, রাস্তার কাজ হয় দেখেছি কিন্তু এতো ধীর গতিতে! নাকি রাস্তার কাজের নামে আমাদের সাথে পুতুল খেলছে। কিছু জায়গায় কাজ করে আবার সেটা শেষ না করে অন্য জায়গায় কাজ শুরু করে। নাকি ধূলাবালি খাইয়ে আমাদের মেরে ফেলার ফাঁদ তৈরি করেছে। আমরা দ্রুত এই ধূলাবালি থেকে মুক্তি চাই।
বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার সাখায়াত হোসেন এই প্রতিবেদকে জানান, ধূলাবালির কারণে মানব দেহে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি সাধিত হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নাক দিয়ে ধূলাবালি প্রবেশের ফলে ফুসফুসে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
কালের কাগজ/প্রতিনিধি/জা.উ.ভি