Logo
ব্রেকিং :
ঘিওর ও শিবালয়ে স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা সিংগাইরে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় ডিবি পুলিশের এসআই সহ ৬ জন আহত । হেরোইন সহ ২ জন গ্রেফতার ফরিদপুরের নগরকান্দায় নির্মানকালে ভেঙ্গে পড়লো ব্রীজ আদমদীঘিতে দুই মাদক সেবির তিন মাসের কারাদণ্ড বগুড়া আদমদীঘিতে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু নেত্রকোনায় ব্যবসায়ীদের সাথে পুলিশের মতবিনিময় সভা নেত্রকোনায় জেলা প্রশাসনের ভিডিও কনফারেন্স মানিকগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)র অভিযানে হেরোইন ও ইয়াবাসহ ২জন গ্রেফতার দৌলতপুরে স্বাধীনতা দিবসে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় পিআইওসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
নোটিসঃ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : আলহাজ্ব এ.এম নাঈমূর রহমান দূর্জয় ,সম্পাদক ও প্রকাশক মো: জালাল উদ্দিন ভিকু,সহ-মফস্বল সম্পাদক মো: জাহিদ হাসান হৃদয়

সৈয়দপুরে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছা চারিতায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে সাইপাই উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ

রিপোর্টার / ২৫ বার
আপডেট সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি :১৭ ফেরুয়ারী-২০২০,সোমবার।

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে গড়ে ওঠা সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাতপাই স্কুল এন্ড কলেজটি বর্তমান সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতায় এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনিত হয়েছে। সভাপতির একগুয়েমি আধিপত্য বিস্তারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় অভিভাবক সদস্যদের বিবাদ এবং প্রধান শিক্ষক নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে না আসা ও ক্লাস না নেওয়ায় নিয়মিত পাঠদান চরমভাবে ব্যহত হওয়াসহ নানা সমস্যায় পতিত হয়ে প্রতিষ্ঠানটি আজ চরম দুরাবস্থার মধ্যে পড়েছে। ফলে দিন দিন শিক্ষার্থী কমে যাওয়া, পরীক্ষার্থীদের ফলাফল বিপর্যয় এবং সার্বিকভাবে শিক্ষার পরিবেশ বিপন্ন হয়ে পড়েছে। তাদের দুরভিসন্ধির কারণে প্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখা ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে প্রতিষ্ঠানটির স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এলাকার সচেতন ব্যক্তিবর্গসহ পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিভাবক সদস্য মোঃ ইলিয়াস আলী জানান, বর্তমান সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরীর সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রধান শিক্ষকের সাথে আতাত করে জোড় পূর্বক দায়িত্ব নিয়েছেন। এ কারণে সভাপতি অভিভাবক সদস্যসহ অন্যান্য সদস্যদের দেখতে পারেন না। তাই তিনি বিগত ৮ মাস যাবত কোন মিটিং করেন নাই। যতদূর জানি তিনি আমাদের স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া রেজুলেশন করেছেন। এর প্রতিবাদ করলেই তিনি স্কুল থেকে আমাদের অপমান করে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। আর তার কথাতেই প্রধান শিক্ষকও আমাদের এড়িয়ে চলেন। প্রধান শিক্ষক কখনই নিয়মিত স্কুলে আসেন না। একদিন এসেই তিনি পুরো সপ্তাহের স্বাক্ষর করেন হাজিরা খাতায়। এমনকি নতুন কমিটি হওয়ার পর থেকে তিনি তার পাঠদানের বিষয় বিজ্ঞানের একটি ক্লাসও নেননি। একারণে আমার ছেলে পঞ্চম শ্রেনীতে জিপিএ-৫ নিয়ে পাশ করলেও এখন জেএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিষয়ে কম নম্বর পাওয়ায় মাত্র ৩.২৪ মার্ক পেয়ে পাশ করেছে। এমনকি এ বিজ্ঞান বিষয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ফেল করেছে।
প্রধান শিক্ষকের এ ধরণের আরও নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাকে এগুলো পরিহার করে প্রতিষ্ঠানের প্রতি নজর দিয়ে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য বলায় তিনি সভাপতির সাথে আতাত করে সকল অভিভাবক সদস্যসহ অন্যান্য সদস্যদের সাথে খারাপ আচরণ করাসহ তাদের উৎখাতে লিপ্ত রয়েছেন। যা ১৭ ফেব্রুয়ারী সোমবার জেলা শিক্ষা অফিস থেকে অডিটে আসা কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে। তিনি নিজেই এ সংক্রান্ত তথ্য প্রমান পেয়েছেন এবং প্রধান শিক্ষককে হুশিয়ার করে দিয়েছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষক আমার উপর চড়াও হয় এবং উভয়ের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। কিন্তু এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই প্রধান শিক্ষক তাকে মারধর করা হয়েছে মর্মে মিথ্যে অভিযোগ দেওয়ার জন্য থানায় গিয়েছেন।
একইভাবে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের পুরাতন বিল্ডিংয়ের ইট, টিন ও রডের এঙ্গেলসহ সবকিছু বিক্রি করে অর্থ পকেটস্থ করার অভিযোগ করেন অভিভাবক সদস্য মোঃ মশিউর রহমান, সেকেন্দার আলী, খাদিজা বেগম ও রুপক। তারা আরও বলেন, নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এতেও সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ঠিকাদারের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে নি¤œমানের কাজ করছেন। একারণে বাধা দেওয়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে। একইভাবে তারা দুজনে মিলে প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি তসরুপের অপকৌশল করছেন বলেও তারা অভিযোগ করেন।
স্কুলের শিক্ষক মেহের উদ্দিনও একইভাবে অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক এ পর্যন্ত নানা অনিয়ম করেছেন। সভাপতির সাথে গোপন আতাতে তারা প্রতিষ্ঠানের বারোটা বাজিয়ে ফেলেছে। আমরা শিক্ষকরা পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সাথে সভাপতির বিরোধের খেসারত দিচ্ছি। বিগত প্রায় ৩ মাস যাবত আমাদের বেতন পাচ্ছিনা। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি। এ থেকে উত্তরণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ খুবই প্রয়োজন। তা না হলে প্রতিষ্ঠানটি রসাতলে যাবে।
অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষকের মতামত জানতে ১৭ ফেব্রুয়ারী সোমবার দুপুর ২ টায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেলে দেখা যায় বন্ধ রয়েছে। উপস্থিত স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানান, প্রধান শিক্ষক স্কুল বন্ধ করে দিয়েছেন। কারণ হিসেবে তারা জানান, প্রধান শিক্ষক গত সপ্তাহে ৫ দিন এবং চলতি সপ্তাহে ৩ দিন আসেন নাই। কিন্তু আজ এসেই তিনি অনুপস্থিতির দিনগুলোর হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করছিলেন। এসময় অভিভাবক সদস্য মোঃ ইলিয়াস আলী বিষয়টি ধরেন এবং জবাবদিহি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষক তাৎক্ষনিক স্কুল বন্ধ ঘোষণা করে চলে যান।
পরে প্রধান শিক্ষক মোঃ লুৎফর রহমানের সাথে তার সৈয়দপুর শহরস্থ বাসায় গিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে সেখানেও পাওয়া যায়নি। এমতাবস্থায় তার মুঠোফোনে বার বার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরীর মন্তব্য জানার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কল কেটে দেন। তারপর বার বার কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।


এ জাতীয় আরো খবর
Theme Created By ThemesDealer.Com