Logo
ব্রেকিং :
কেন্দুয়ায় হ্যান্ডট্রলির ধাক্কায় শিশুছাত্রের মৃত্যু দৌলতদিয়া পদ্মা নদীর তীর থেকে অজ্ঞাত যুবকের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার ভাইরাল কিংবা ভিউয়ের জন্য গান করি না— ক্লোজআপ ওয়ান তারকা সাজু এটি প্রথম আলোর ষড়যন্ত্র: হানিফ প্রতিনিয়ত পত্রিকাটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে : বিপ্লব বড়ুয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক সাংবাদিকদের মুক্তির দাবিতে মানিকগঞ্জে মানববন্ধন নেত্রকোনায় ত্রান ও পুর্নবাসন শাখার আয়োজনে কর্মশালা নতুন শিক্ষাক্রম যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে -অঞ্জনা খান মজলিশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নেত্রকোনা জেলা আ’লীগ সভাপতি-সম্পাদকের সৌজন্য স্বাক্ষাত প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে পেশাগত দক্ষতার বিকাশ ঘটে –নড়াইল পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন
নোটিসঃ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : আলহাজ্ব এ.এম নাঈমূর রহমান দূর্জয় ,সম্পাদক ও প্রকাশক মো: জালাল উদ্দিন ভিকু,সহ-মফস্বল সম্পাদক মো: জাহিদ হাসান হৃদয়

সৈয়দপুরে স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করণে মানব বর্জ্যরেসুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এসকেএস’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রিপোর্টার / ২২ বার
আপডেট রবিবার, ৮ মার্চ, ২০২০

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ;০৮ মার্চ-২০২০,রবিবার।

নীলফামারীর সৈয়দপুরে মানব বর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সংবাদকর্মীদের সাথে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮ মার্চ রবিবার সকাল ১১ টায় পৌরসভার অধিবেশন কক্ষে সমাজ কল্যাণ সংস্থা (এসকেএস) ফাউন্ডেশন আয়োজিত সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র জিয়াউল হক জিয়া, প্যানেল মেয়র-২ শাহিন আক্তার শাহিন। সৈয়দপুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প তথা কো-কোম্পোস্ট প্লান্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন এসকেএস ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মোঃ নজরুল ইসলাম তপাদার। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এসকেএস ফাউন্ডেশনের ওয়াস প্রমোটর দেলজান খাতুন, জাহাঙ্গীর আলম, সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি সাকির হোসেন বাদল, সাধারণ সম্পাদক এম এ করিম মিস্টার, সাপ্তাহিক নীলফামারী চিত্র পত্রিকার সম্পাদক মকসুদ আলমসহ ১৮ জন সাংবাদিক।
মোঃ নজরুল ইসলাম তপাদার জানান, বিগত ২০১৩ সাল থেকে ঐতিহ্যবাহী শহর সৈয়দপুরের পরিবেশ উন্নয়ন তথা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতি কল্পে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ১ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ভ্যাকু ট্যাগ ক্রয় করে দিয়ে মানব বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপর ২০১৮ সালে এলজিইডি’র পক্ষ্য থেকে ৩ হাজার লিটার বর্জ্য ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন আরেকটি ভ্যাকু ট্যাগ নিয়ে পৌরসভা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত রয়েছে। এভাবে মানববর্জ্য সংগ্রহ পূর্বক পরিবেশ দূষণে সফলতা আসায় গৃহস্থালী বর্জ্য সংগ্রহের জন্য পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডে পাইলট প্রকল্প চালু করা হয়। এতেও সাফল্য দেখা দেয়ায় অন্যান্য ওয়ার্ডেও তা চালু করা হয়েছে।
এরই প্রেক্ষিতে ওয়াটার এইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় পৌরসভার নিজস্ব ১ একর ৭০ শতক জমির উপর নির্মাণ করা হচ্ছে কো-কম্পোস্ট প্লান্ট। এটি দেশের অন্যান্য প্লান্টগুলোর চাইতে প্রায় ৮ গুন বড় আকারে করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই প্লান্টের মাধ্যমে সংগৃহিত মানব ও গৃহস্থালী বর্জ্য দিয়ে কম্পোস্ট সার উৎপাদনসহ স্থানীয়ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন, অপচনশীল আবর্জনা দিয়ে ফুয়েল তথা জ্বালানী তেল ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে তা কৃষিকাজসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার উপযোগী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। আগামী জুন মাস নাগাদ এ প্লান্ট উদ্বোধণের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান নজরুল ইসলাম তপাদার। এ ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি। যাতে আগামীতে পৌর এলাকার বাইরেও ইউনিয়ন পর্যায়ে ভ্যাকু ট্যাগ সরবরাহ করে মানববর্জ্য সংগ্রহ করার মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করণে সহায়তা করা যায়।
তিনি জানান, সামান্য অর্থের মাধ্যমে ভ্যাকু ট্যাগ ব্যবহার করে অনেক সহজভাবে টয়লেটের ট্যাঙ্ক থেকে বর্জ্য নিষ্কাশন করা যায়। এটি ব্যবহারের ফলে শহরের যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটে পড়া মানববর্জ্য রোধ বা ড্রেনের সাথে সম্পৃক্ত টয়লেটের সুয়ারেজ লাইনমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে। এজন্য পৌরবাসীসহ সর্বস্তরের জনগণের সচেতনা তথা এ সংক্রান্ত তথ্য জানানো প্রয়োজন। তাই তিনি এ তথ্য সরবরাহ বা প্রচারণার জন্য সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন।


এ জাতীয় আরো খবর
Tech Support By Nagorikit.Com