মোঃ মিরাজুল আল মিশকাত ( হাবিপ্রবি প্রতিনিধি :০১ আগস্ট-২০১৯,বৃহস্পতিবার।
প্রায় চার কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হচ্ছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রসারিত মেডিকেল সেন্টারের কাজ। প্রাথমিক ভাবে প্রায় এক কোটি দশ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত হবে প্রথম তলার কাজ। পরে অন্য প্রজেক্টের মাধ্যমে বাকি কাজ সম্পাদন করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।
সম্প্রসারণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম, কোষাধাক্ষ্য প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. মোঃ ফজলুল হক, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ খালেদ হোসেন, হিসাব শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ শাহাদৎ হোসেন খান লিখন, হাবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হাবিপ্রবি শাখার নেতৃবৃন্দ সহ হাবিপ্রবির কর্মকর্তা কর্মচারীববৃন্দ।
এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মোরসেদুল আলম রনি বলেন, “ আমরা চাই মেডিকেল সেন্টারটি পাঁচতলা বিশিষ্ট হোক। এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যে যে ফাস্ট এইড গুলি দরকার যেগুলো এখানে নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনেক দিনের চাওয়া এই ফাস্ট এইড গুলি যেন এবার মেডিকেল সেন্টারে সংযুক্ত করা হয়। এতে করে আমরা সকলেই অনেক উপকৃত হবো ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. মোঃ ফজলুল হক বলেন, “ আমিও ব্যক্তিগতভাবে চাই সম্প্রসারিত মেডিকেল সেন্টারটি পাঁচতলা বিশিষ্ট হোক। কারণ দিন দিন দেশে ভূমির পরিমান কমে যাচ্ছে। আর প্রযুক্তির যেহেতু উন্নতি হচ্ছে তাই পরে সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে এখনি সময় পাঁচ তলার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা “। এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম বলেন, “ যদি সরকারি কোনো জটিলটা না থাকে তবে মেডিকেল সেন্টারটি পাঁচতলা করার লক্ষ্যে সব কাজ এগিয়ে নেয়া হবে “। মেডিকেল সেন্টারটিতে অপারেশন থিয়েটার থেকে শুরু করে মেয়ে ও ছেলে শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক ওয়ার্ড এছাড়া শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য থাকছে ওয়ার্ডের ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য যে, বর্তমান মেডিকেল সেন্টারে মাত্র দশটি বেড থাকলেও নতুন সম্প্রসারিত মেডিকেল সেন্টারে বেড সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি যুক্ত হবে অত্যাধুনিক চিকিংসা ব্যবস্থা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের চোখ ও দাঁতের সমস্যা সমাধানের জন্য থাকবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
কালের কাগজ/প্রতিনিধি/জা.উ.ভি