কালের কাগজ ডেস্ক: ১৯ জানুয়ারি -২০২৩,
আন্দোলনের নামে বিএনপি নাশকতা করতে পারে এমন আশঙ্কায় নির্বাচন পর্যন্ত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও মাঠে থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তবে পাল্টা কর্মসূচি দিলেও বিএনপির সঙ্গে কোনো সংঘাতে জড়ানোর ইচ্ছা আওয়ামী লীগের নেই বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে সেতু ভবনে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
বিএনপির পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয় না। আওয়ামী লীগ অবিরাম কর্মসূচিতে আছে। বিএনপির সঙ্গে সংঘাত করার কোনো ইচ্ছা আওয়ামী লীগের নেই।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কর্মসূচি কি বিএনপির সাথে সংঘাত ঘটেছে? আওয়ামী লীগ তার কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে সংঘাতে গিয়েছে, এমন একটা ঘটনাও নেই। এরকম একটা উদাহরণ দিতে মির্জা ফখরুলও পারবেন না।’
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তারা কর্মসূচি পালন করতে আগুন সন্ত্রাস, পুলিশের ওপরে হামলা, বাস পোড়ানো, নাশকতা করে। সেজন্য আমরা যেহেতু ক্ষমতায় আছি, জনগণের জানমালের অধিকার রক্ষা করা এটা আমাদের ওয়াদা, দায়িত্ব, কর্তব্য।’
আওয়ামী লীগ রাস্তা দখল করে কর্মসূচি করে না দাবি করে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি যে সমাবেশ করে রাস্তার সামনে কতগুলো রাস্তা বন্ধ থাকে। আওয়ামী লীগের শ্যামলীর সমাবেশে একপাশ বন্ধ ছিল, কিন্তু অন্যপাশ খোলা ছিল। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে পাশের দুই রাস্তায় খোলা থাকে, কোনো জ্যাম হয় না।’
বিএনপির নিজেদের দলেই গণতন্ত্র নেই, দেশে কী গণতন্ত্র আনবে এমন মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘গণতন্ত্র উদ্ধার অনেক আগেই হয়েছে, গণতন্ত্র নতুন করে উদ্ধার করার প্রয়োজন নেই। তাদের শাসনামলে গণতন্ত্রকে কতটা গুরুত্ব দিয়েছে সেটা খুঁজে দেখুক। আজিজ মার্কা কমিশন, মাগুরা, ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ঢাকা-১০ আসনের নির্বাচন, ২০০৬ সালে এক কোটি ভুয়া ভোটার দেখলেই বোঝা যায় তারা তো গণতন্ত্র মানে না, হত্যা করেছে। রেকর্ড তো আপনাদের জানা আছে।’
বিএনপির মহাসচিবের সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘যে গণতন্ত্রের কথা বলেন তিনি, একটা শাখা সংগঠনের সম্মেলন হয় না, সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন হয় না বিএনপির।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল দাবি তুলেছেন, র্যাবের ওপর নয়, সরকারের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত ছিল। এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ওপর নয়, বিএনপির ওপরই নিষেধাজ্ঞা আসা উচিত।’
এর আগে সেতুভবনে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পদ্মা সেতুসহ সব সেতুতে একমাত্র রাষ্ট্রপতিকে টোল অব্যাহতির সিদ্ধান্ত হয়।