তিনি আরও বলেন, বর্তমান কর্তৃত্ববাদী স্বৈরশাসক হাসিনার জুলুমের ফলে বাক স্বাধীনতা হারিয়ে মানুষ আজ প্রতিবাদের ভাষাও ভুলে গেছে। এই সুযোগে সরকার স্বেচ্ছাচারিতায় হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দেশকে দেউলিয়াত্বের দিকে ঠেলে দিয়েছে। আর তার খেসারত স্বরুপ দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দেশবাসীকে।

মীর্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়ে সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান কে ধ্বংস করে প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে বিনাভোটে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসেছে। এই নাভিশ্বাস পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দেশ ও জনবিরোধী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেশকে রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। দুর্বার আন্দোলনে ভোট চোরদের মসনদ তছনছ করে স্বাধীনতা নতুন সূর্যোদয় ঘটাতে ৭১ ও ৯১ এর মতো সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হবে।

তিনি বলেন, এইজন্যই প্রকৃত দেশপ্রেমিক দল হিসেবে বিএনপি ১০ দফা কর্মসূচী দিয়েছে। যার অন্যতম দাবী হলো নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। আওয়ামীলীগের অধীনে আর কোন নির্বাচনে জনগণ যাবেনা। প্রশাসনের  পছন্দের লোকজনকে দিয়ে তামাশার নির্বাচন করে বাকশালীদের আর ক্ষমতা দখল করতে দেয়া হবেনা। বেগম খালেদা জিয়া আর তারেক জিয়ার নেতৃত্বে আবারও স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র পূণরোদ্ধারের মাধ্যমে জাতির ভোট, ভাত ও কথার অধিকার ফিরিয়ে দেয়া হবে। এজন্য দলীয় নেতাকর্মী সহ দেশবাসীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠিক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন, সাবেক বিরোধী দলীয় হুইপ (জাপা) আলহাজ্ব শওকত চৌধুরীসহ সৈয়দপুর ও নীলফামারী জেলা ও উপজেলা, পৌর শাখার নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দপুর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট এস এম ওবায়দুর রহমান।