শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ০২এপ্রিল -২০২২,শনিবার।
নীলফামারীর ডোমারে রেলস্টেশনের টিকিট কালোবাজারি বন্ধ এবং কালোবাজারিদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে ডোমারবাসী। উপস্থিত জনতার অভিযোগ টিকিট কালোবাজারির সাথে স্টেশন মাস্টার ও বুকিং সহকারীরাও জড়িত।
২ এপ্রিল (শনিবার) ডোমার রেলগেট মোড়ে সকাল ১১টার মানববন্ধনে ডোমার পৌর ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুবেল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ডোমার প্রেসক্লাবের সভাপতি আসাদুজ্জামান চয়ন।
মানববন্ধন কর্মসূচীতে সামাজিক সংগঠন “হৃদয়ে ডোমার” এর সাধারন সম্পাদক রাকিব আল আকাশ এর সঞ্চালনায় এ সময় অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুন সোহাগ, দিপ্ত টিভির জেলা প্রতিনিধি ইয়াসিন মোহাম্মদ সিথুন, প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক মাসুম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবু সাঈদ, সাবেক ছাত্রনেতা সোহেল রানা, হৃদয়ে ডোমার এর সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাবের উপজেলা প্রতিনিধি রাশেদুল ইসলাম আপেল, সমাজকর্মী ও সাংবাদিক আজমির রহমান রিশাদ, সমাজকর্মী সুমন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, স্টেশন মাস্টার ও বুকিং সহকারীর রুমে বছরের পর বছর বহিরাগত নাছিরুল ও খোকন নামের ২জন প্রতিনিয়ত অফিসিয়ালি কাজে সহযোগীতা করে আসছে। তাদের মাধ্যমেও টিকিট কালোবাজারি নিয়মিত হচ্ছে।
এছাড়াও টিকিট কালোবাজারিতে বর্তমান সক্রিয় ভাবে কাজ করছে স্টেশন পাড়ার মতি, লিটন, ড্রাইভার রিপন, নাজমুলসহ স্টেশন বাজারের অনেক দোকানদারও জড়িত রয়েছে এবং নীলফামারীর সকল রেলস্টেশন সহ নীলফামারীর বাইরের টিকিটও তাদের কাছে সবসময় মজুদ থাকে বলে একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান।
বক্তারা আরোও বলেন, কাউন্টারের বুকিং সহকারী রাসেদ ও সিহাব পরোক্ষভাবে টিকিট কালোবাজারির সাথে জড়িত যার প্রমান হিসেবে ভুক্তভোগী অনেকেই অভিযোগ করেছেন, ডোমার রেল স্টেশনের টিকিট কালোবাজারির কাছে আমরা একাধিকবার পেয়েছি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডোমার প্রেসক্লাবের সভাপতি আসাদুজ্জামান চয়ন ২৪ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, অতিসত্বর মনিটরিং টিম গঠন করে রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারী সহ সকল কালোবাজারিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে সামনের দিনে ডোমারবাসী আরোও কঠোর কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হবে।
সভাপতির বক্তব্যে পৌর কাউন্সিলর রুবেল ইসলাম বলেন, স্টেশন মাস্টার সহ বুকিং সহকারী রাসেদ ও সিহাব কালোবাজারির মুল হোতা। তারা তাদের রুমে কয়েকজন বহিরাগত এর মাধ্যমে নিয়মিত অফিসিয়াল কাজ করে নেয় এবং এরাও কালোবাজারির সাথে জড়িত। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অতিসত্বর এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে জনগন মাঠে নামতে বাধ্য হবে।