Logo
ব্রেকিং :
নবাবগঞ্জে খুনের ঘটনা, ৫ ঘন্টায় খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ  রাণীশংকৈলে ২ ইটভাটা মালিককে কাঠ পোড়ানোর দায়ে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা  সিরাজগঞ্জে ফুডগ্রেডবিহীন ড্রামে ভোজ্য তেল ব্যবহারের প্রতিবাদে ক্যাব এর মানববন্ধন  সিরাজগঞ্জে আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসিম রেজা নূর দিপু সিরাজগঞ্জে সাত বছর পর শিশু ধর্ষণ ও হত্যার রহস্য উদঘাটন  গ্রেফতার -২ সাবেক এমপি’র ছবি অবমাননায় নিন্দা জানিয়েছে নাগরপুর উপজেলা আ.লীগ সিরাজগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার  পলাতক আসামী গ্রেফতার ঘাটাইলে কিশোরীকে ২২ দিন আটকে রেখে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ পুলিশ মামলা না নেওয়ায় আদালতে বিচার দাবি টাঙ্গাইলে জলাশয় ভরাটের প্রতিবাদে মানববন্ধন নাগরপুরে বসত করে আগুন দেওয়ার অভিযোগ 
নোটিসঃ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : আলহাজ্ব এ.এম নাঈমূর রহমান দূর্জয় ,সম্পাদক ও প্রকাশক মো: জালাল উদ্দিন ভিকু,সহ-মফস্বল সম্পাদক মো: জাহিদ হাসান হৃদয়

নাগরপুরে তাঁতে তৈরী শীতের পোষাক শাল চাদর এখন দেশব্যাপী

রিপোর্টার / ২৮৪ বার
আপডেট রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২

নাগরপুর(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:২৫ ডিসেম্বর-২০২২,রবিবার।

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় তাঁতের শাড়ীর পর দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে আকর্ষণীয় শাল চাদর। জেলার চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। তাঁতে তৈরী বাহারী ডিজাইন আর নিপুন কারুর্কায্যে আর্কষণীয় শীতের পোষাক শাল চাদর প্রায় সব বয়সের নারী-পুরুষের পছন্দ। তাঁতে তৈরী এসব শাল চাদর শীতের শুরুতেই পৌছে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার শো-রুম গুলোতে। এ চাদর সহজে রমণীদের মনে স্থান করে নিয়েছে, আকর্ষণীয় ও মনোরম তাঁতে তৈরী শাল চাদর। এ শাল চাদরের বৈশিষ্ট্য হল বাহারি রঙের সুতা দিয়ে হাত ও তাঁতকলে আর্কষণীয় ডিজাইনের কারুকার্যে তৈরি করা হয়। দুই/আড়াই হাত প্রস্থ এবং চার/পাঁচ হাত দৈর্ঘ্যে তৈরি হয়। বর্তমানে ফ্যাশান উপযোগী করে এ শাল চাদর তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান কারিগররা। উপজেলার পংবাইজোড়া, কেদারপুর ও চানপাড়া সব চেয়ে বেশি শাল চাদর তৈরি হচ্ছে বলে জানা গেছে। (নাগরপুর ও দেলদুয়ার) দুই উপজেলার অঞ্চলের প্রায় ৬ শতাধিক পরিবার শাল চাদর তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তাঁত মালিক ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সারা বছর শাড়ী তৈরী করলেও শীত মৌসুমের শুরু থেকে মধ্য শীত পর্যন্ত তারা বেশী পরিমানে শাল চাদর তৈরী করেন। তাঁত শ্রমিকরা জানান, একজন শ্রমিক দিনে হাতে ৮ টা তাঁত বোনাতে পারে। পাপে আর হ্যান্ডলোম মেশিনে ১২ থেকে ১৫ টা শাল চাদর তৈরী করেন। এতে যা মুজুরী পান তাতে কোন রকমে তাদের সংসার চলে। তাঁত মালিকরা জানান, সুতাসহ অন্যান্য উপকরনের মূল্য বৃদ্ধির কারনে তাদের শাল চাদর তৈরীর প্রধান প্রতিবন্ধকতা। এ শিল্পের সাথে জড়িত অনেকে তাঁত বিক্রী করে বিদেশ চলে গেছে, আবার অনেকে অল্প পুজি নিয়ে তারা শাল চাদর তৈরী করছেন। এ অঞ্চলে তৈরী ফ্যাশনেবল শাল চাদর ইতিমধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে গেছে বিক্রীর জন্য। তাঁত তৈরী শাড়ির পাশাপাশী শাল চাদর শিল্পটির সম্প্রসারনের জন্য কাজ করছে জেলা তাঁত বোর্ড। শিল্পের সাথে জড়িতরা জানান, সুষ্ঠ বাজার ব্যবস্থাপনা, সরকারী-বেসরকারী প্রনোদনার পরিধি আরো বাড়ানো এবং সরকারী ভাবে শীত প্রধান দেশগুলোতে ব্যাপকহারে শাল চাদর রফতানীর উদ্যোগ নেয়া গেলে আরো অনেকদুর এগিয়ে যাবে এ শিল্প।


এ জাতীয় আরো খবর
Tech Support By Nagorikit.Com