নিজস্ব প্রতিবেদক:০৭ ডিসেম্বর-২০২২,বুধবার।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেছেন,  মেজর জিয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পবিবারের সকলকে হত্যা করেছে । মেজর জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের মন্ত্রী বানিয়েছে।  স্বাধীনতার বিরোধী চক্র বিএনপি-জামাত এক হয়ে দেশে অরাজকতা সৃস্টির পায়তারা করছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল এই দেশকে সোনার বাংলা গড়ার। মেজর জিয়া বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেয়নি । শক্ত হাতে আওয়ামীলীগের হাল ধরেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা । বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন ।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সদর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি  প্রধান অতিথির বক্তব্যে  এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের। এই ১৪ বছরে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার আমলে আওয়ামী লীগের সকল নেতা কর্মীরা ঘুমিয়ে গিয়েছিল।  ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ চলবে, ১১ ডিসেম্বর থেকে তারেক রহমান ক্ষমতায় বসবেন এই কথাগুলো বলে বিএনপি আ'লীগ কর্মীদের ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন হবে স্বাধীনতার পক্ষে নির্বাচন। বিএনপি-জামাতের বিরুদ্ধে নির্বাচন । বিএনপি জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকা কালে দুনীর্তিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় থাকা কালে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ছিল না। মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতার মাধ্যমে একটি দেশ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন ছিল এলাকার উন্নয়ন, এলাকার উন্নয়ন হলে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলাদেশে পরিনিত হবে।   বঙ্গবন্ধু কন্যা সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘরে ঘরে বিদ্যুত,রাস্তাঘাট ,ব্রিজ কালভার্ট,স্কুল-কলেজের ভবন সহ ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের ধারা  অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে বর্তমান  স্বাস্থ্য মন্ত্রী  ও সংসদ সদস্য   জাহিদ মালেক স্বপন, সংসদ সদস্য এ,এম নাঈমুর  রহমান দূর্জয়,  সংসদ সদস্য কন্ঠ শিল্পী মমতাজ বেগমকে  আবার নৌকায় ভোট দিতে  দেওয়ার আহবান জানান। বিএনপি-জামাতের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্য বদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। স্বাধীনতা ও গনতন্ত্র রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে । সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ শক্তিশালী হলে আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। নৌকার প্রার্থী বিজয় হলে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী হবে। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে । সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে দলের ও নৌকার পক্ষে কাজ করার আহবান জানান ।

এ সময় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ছিলো দরিদ্রতম দেশ। শেখ হাসিনা ১৪ বছরে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরিত করেছেন। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ। তিনি এদেশকে আরো উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাবেন। তার লক্ষ্য ২০৪১ সালের তিনি এই বাংলাদেশকে বানাবেন আমিরিকা ও ইউরোপ। উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন বিশ্বের মানচিত্রে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, যারা এই দেশের স্বাধীনতা চায় নাই, যারা স্বাধীনতার বিরোধী করেছে, যারা রাজাকার আলবদরের সাথে দোসর ছিলো তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। সেই একই গোষ্ঠী মাননীয় প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা করেছে। যারা বাংলা ভাই সৃষ্টি করেছে, যারা সিরিজ বোমা করেছে, যারা দেশের উন্নয়নকে সহ্য করতে পারে না, যারা পদ্মা সেতুর অর্থায়নকে বন্ধ করে দিয়েছিলো বিশ্ব ব্যাংক থেকে তারাই হলো বিএনপি জাময়াত দল। আ’লীগ এখন অনেক শক্তিশালী, আ’লীগের সংগঠন এখন অনেক শক্তিশালী, শেখ হাসিনা এখন বিশ্বনেত্রী। তাকে ধাক্কা দিয়ে ফালানো যায় না। সে একটা হিমালয় পর্বতের মতো। হিমালয় পর্বতকে কেউ ধাক্কা দিয়ে ফালাতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, করোনায় আমরা টিকা দিলাম, সেবা দিলাম। করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ এশিয়ার মধ্যে ১ম স্থান অধিকার করেছে আর সারা বিশ্বে ৫ম। আমরা তো বিএনপিকে পায় নাই। শেখ হাসিনা মানুষের বাড়িতে খাবার পৌছে দিয়েছে, টাকা পৌছে দিয়েছে। কত রকম সাহায্য সহযোগিতা করেছে এই করোনার সময়। তখন বিএনপি কোথায় ছিলো।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক, মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য  কন্ঠ শিল্পী মমতাজ   বেগম, বাংলাদেশ  আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য এ্যাডভোকেট এবিএম রিয়াজুল কবির কাওসার, শাহাবুদ্দিন ফরাজী,  আনোয়ার হোসেন,  জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম।

এ সময় সম্মেলনে আগামী তিন বছরের জন্য ইসরাফিল হোসেনকে সভাপতি ও আফসার সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং আরশেদ আলী বিশ্বাসকে সভাপতি ও জাহিদুল ইসলাম জাহিদকে সাধারণ সম্পাদক করে পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষনা করা হয়।