Logo
ব্রেকিং :
টাঙ্গাইলে ৪৮তম ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস পালিত নাগরপুরে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি নেতা গোলাম বহিষ্কার জলদস্যুদের  জিম্মিদশা থেকে ছেলেকে ফিরে পেয়ে আবেগে আপ্লুত নাজমুলের বাবা মা  সিরাজগঞ্জে হিরোইনসহ  এক নারী কারবারী গ্রেফতার  কর্মকর্তাদের অবহেলা টাঙ্গাইলের ১৬ সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা ওড়েনা! নগরকান্দায় শ্রমজীবীদের মাঝে, ছাতা, গেন্জি ও গামছা বিতরণ গোয়ালন্দের পদ্মা-যমুনা নদীতে নৌ-দস্যুতার অভিযোগ জেলেদের  নির্বাচনের আগে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের  গোপন বৈঠকের মাস্টারমাইন্ড  বরখাস্ত  নাগরপুরে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার রাজপথে, প্রতিবাদ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত  সিরাজগঞ্জে খেলতে গিয়ে বালির গর্তে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু 
নোটিসঃ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : আলহাজ্ব এ.এম নাঈমূর রহমান দূর্জয় ,সম্পাদক ও প্রকাশক মো: জালাল উদ্দিন ভিকু,সহ-মফস্বল সম্পাদক মো: জাহিদ হাসান হৃদয়

মধুপুর গড়ে জমে উঠেছে আশ্বিনা আনারস বাজার ভাল দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি

রিপোর্টার / ১৬৩ বার
আপডেট বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২

মুক্তার হাসান,টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:২৬ অক্টোবর-২০২২,বুধবার।

আনারসের জনপদ হিসেবে খ্যাত লাল মাটির টাঙ্গাইলের মধুপুর গড় । স্বাদে ও গুণে এ এলাকার আনারস অন্যন্য। লাল মাটিতে গড়ে আনারস ভাল জন্মে। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া আনারস চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী । কম খরচে অধিক ভাল ফলন পাওয়া যায়। এ অঞ্চলে বছরে ২ ধরনের আনারস চাষ হয়ে থাকে । জায়েন্টকিউ ও হানিকুইন। জায়েন্টকিউ বছরে দুই সময়ে আসে । বৈশাখ থেকে ভাদ্র পর্যন্ত সিজনাল । আশ্বিন থেকে পৌষ মাস পর্যন্ত পাওয়া যায় আশ্বিনা আনারস পাওয়া যায়। স্বাদে সিজনাল একটু বেশি। আশ্বিনা আনারসটা একটু টক তবে গাছে পাকাটা ভাল মিষ্টি হয়ে থাকে। আশ্বিনা আনারসের চেয়ে সিজিনালের বাজার বেশি জমজমাট । দামের দিক থেকে ২ টাই প্রায় সমান। সিজনাল আনারস আসার পর উপযোগি বা বয়সপ্রাপ্ত গাছে আশ্বিনা আনারস ধরে থাকে। এ আনারসে তেমনটা হরমোন বিষ ব্যবহার করা হয় না। খেতেও কিছুটা টক। কোনটা আবার ব্যাপক মিষ্টিও হয়ে থাকে। এ আনারসের জন্য বাড়তি কোন সারের প্রয়োজন হয় না। মৌসুমী আনারসের জন্য যে সার ব্যবহার করা হয় তাতেই হয়। বাড়তি কোন সার বা যতেœর দরকার হয় না । শীতকাল পর্যন্ত থাকায় চাহিদা একটু কম। এখন আশ্বিনা আনারসের বেচা কেনা শুরু হয়েছে পুরোদমে। মধুপুর গড় এলাকার কয়েক জায়গায় বসে বাজার। মধুপুুরের জলছত্র, মোটের বাজার,গারো বাজার এবং ঘাটাইলের কয়েক স্থানেও বসে আশ্বিনা আনারসের বাজার। দেশের বিভিন্ন জেলায় এ আনারসের সমাগম ঘটে থাকে। এ বছর চাহিদা মোটামুটি ভাল। দাম ভাল পাচ্ছেন কৃষকরা। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু হয় বাজার চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। সাইকেল ভ্যান রিকসা যোগে বিভিন্ন গ্রামের বাগন থেকে বাজারে আসে আনারস। এসব তথ্য স্থানীয় কৃষক, পাইকারদের সাথে কথা বলে জানা যায়। গত মঙ্গলবার জলছত্র আনারস বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ভ্যান , রিকসা যোগে আসছে আনারস। বাজারে সারি বদ্ধ ভাবে ভ্যান সাইকেল সাজিয়ে রাখা হয়েছে। পাইকাররা দর কষাকষি করে কিনছেন আনারস। দাম মিটিয়ে আনারস গুনে বুঝে নিচ্ছেন। চাহিদা মতো আনারস কিনে ট্রাকে তোলা হচ্ছে। জলছত্র বাজারেই রয়েছে ট্রাক ও কভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন। পরিবহন পেতে কোন সমস্যা নেই। টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহা সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে এই বাজার । স্থানীয় এমপি কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি জলছত্র ও মোটের বাজার আনারস ও কলা হাটকে সুন্দর করার জন্য ইট বিছিয়ে বাজার উন্নয়ন করেছে। এখন আর আগের মতো যানজট বা কাঁদা হয় না। আরামে ক্রেতা বিক্রেতা আনারস ক্রয় বিক্রয় করে থাকে। এ জন্য কৃষক,পাইকার, আড়তদারসহ এলাকার মানুষেরা উপকৃত হচ্ছে। খুশি স্থানীয়রাও। এ জন্য বাজারে বিকিনিকি বেড়েছে। কথা হয় আনারস বিক্রেতা হরমুজ আলীর সাথে, তিনি জানান বাজারে তিন’শ আনারস বিক্রি করেছেন নয় হাজার টাকা । আব্বাস আলী জানান, চার’শ আনারস ভ্যান যোগে এনে আট হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। এছাড়াও আরোও কয়েকজন আনারস বিক্রেতা জানান, সিজিনাল আনারসের চেয়ে আশ্বিনা আনারসের দাম কিছুটা কম। এ আনারস খেতে কিছুটা টক অপর দিকে, দূর-দুরান্ত থেকে পাইকার কম আসার কারনে দাম কিছুটা কম পাচ্ছে। বাজারে আকার ভেদে ১০ টাকা থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত আনারস বিক্রি হচ্ছে। এ আনারস আরো দেড় মাস পর্যন্ত পাওয়া যাবে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানালেন। তবে উৎপাদন খরচ অনেকটা বেড়ে যাওয়ার কথাও জানালেন । এ আনারস আশ্বিনা মাসে আসে বলে স্থানীয় ভাবে আশ্বিনা আনারস বলা হয়ে থাকে। সুষ্ময় নকরেক জানান, মধুপুরের সাথে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকার কারণে কৃষি পন্যের জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা আসে । মধুপুর গড় এলাকার লালমাটিতে প্রচুর পরিমাণে আনারস জন্মে। স্বাদে ও গুণে মানে মধুপুরের আনারস দেশ খ্যাত। এ এলাকার মাটি আনারস চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। এ এলাকার কৃষকের কলা ও আনারস প্রধান অর্থকরী ফসল। পরিবহন খরচও এ সময়ে কম। সহজেই বাগান থেকে সাইকেল, ভ্যান, রিক্সা, ঘোড়ার গাড়িতে পরিবহন করা যায়। দামও ভাল। মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল বলেন , মধুপুরে এ বছর ৬ হাজার ৫শ’ ৪২ হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হয়েছে । আনারস চাষীদের সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ বছর চাষীরা আনারসের ভাল দাম পাচ্ছে । মধুপুরের আনারসের গুণগত মান ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকার ক্রাণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকারা এসে কিনে নিয়ে যায়।


এ জাতীয় আরো খবর
Tech Support By Nagorikit.Com