Logo
ব্রেকিং :
টাঙ্গাইলে ৪৮তম ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস পালিত নাগরপুরে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি নেতা গোলাম বহিষ্কার জলদস্যুদের  জিম্মিদশা থেকে ছেলেকে ফিরে পেয়ে আবেগে আপ্লুত নাজমুলের বাবা মা  সিরাজগঞ্জে হিরোইনসহ  এক নারী কারবারী গ্রেফতার  কর্মকর্তাদের অবহেলা টাঙ্গাইলের ১৬ সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা ওড়েনা! নগরকান্দায় শ্রমজীবীদের মাঝে, ছাতা, গেন্জি ও গামছা বিতরণ গোয়ালন্দের পদ্মা-যমুনা নদীতে নৌ-দস্যুতার অভিযোগ জেলেদের  নির্বাচনের আগে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের  গোপন বৈঠকের মাস্টারমাইন্ড  বরখাস্ত  নাগরপুরে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার রাজপথে, প্রতিবাদ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত  সিরাজগঞ্জে খেলতে গিয়ে বালির গর্তে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু 
নোটিসঃ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : আলহাজ্ব এ.এম নাঈমূর রহমান দূর্জয় ,সম্পাদক ও প্রকাশক মো: জালাল উদ্দিন ভিকু,সহ-মফস্বল সম্পাদক মো: জাহিদ হাসান হৃদয়

মানিকগঞ্জের বাণিজ্য মেলায় নারীদের উপচে পড়া ভিড়

রিপোর্টার / ১৩৯ বার
আপডেট মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২

 মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:২১ জুন-২০২২,মঙ্গলবার।

মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশের আয়োজনে মাসব্যাপী চলছে “লোকজ ও শিল্প পণ্য মেলা ২০২২” মেলার প্রবেশ টিকিটে রয়েছে মোটরসাইকেল সহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার। দিনদিন মেলার দর্শনার্থী বৃদ্ধির পাশাপাশি বিক্রিও বাড়ছে। তবে এবারে মেলায় ব্যতিক্রমী হয়ে দাঁড়িয়েছে নারী। আগতদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাই বেশি। তা রীতিমত পুরষকে ছাপিয়ে গেছে। মেলায় নারী দর্শনার্থীদের মধ্যে তরুণী ও যুবতিদের সংখ্যাই বেশি। আজ মঙ্গলবার মেলা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। মেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্খা জোড়দার রয়েছে। মেলায় নিয়মিত স্টল দেয়া ব্যবসায়ীরা জানান, বাণিজ্য মেলায় সাধারণত প্রথম দিকে ক্রেতারা আসেন শুধু পণ্য দেখতে। পরে বাসায় গিয়ে ঠিক করেন কোন পণ্য কোন স্টল থেকে নিবেন।

এসময়ও তারা কমদামের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে নিয়ে যান। এজন্য মেলায় বিক্রি জমে উঠে মধ্যভাগ থেকে। মাসের প্রথমভাগ শেষ হলেই তাই আশায় থাকেন বিক্রেতারা। এজন্য মেলার দ্বিতীয় দশক থেকেই ক্রেতা টানতে সবপণ্যে ছাড় দেয়া শুরু করেন তারা। তবে ছুটির দিনে মেলায় দর্শনার্থী ও বিক্রি দুটিই বেশি হয়। সরকারি পর্যায়ে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন হওয়ায় সরকারি কর্মজীবীরা বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার এই তিনদিনই মেলায় একবার হলেও ঢুঁ মারেন। বেওথা, পৌলি, বান্দুটিয়া, জয়রা, দাশড়া, সেওতা এলাকায় থাকা ব্যক্তিরা প্রতিদিনই বাড়ি ফেরার সময়ে মেলায় একবার হলেও হাজিরা দেন। গত ৩১শে মে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া মেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিড় হচ্ছে গত দুদিন ধরে। প্রায় সব সময়েই টিকেট কাউন্টারগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই আছে। মেলার আয়োজক কর্তৃপক্ষের সূত্র জানিয়েছে, বাড়তি মানুষের চাপ, বাতাসে ধুলার মিশ্রণে এই গরমে ঘাম ঝড়িয়ে দিলেও মেলার ভেতরে দেখা গেছে সম্পূর্ণ বিপরীত দৃশ্য । আগতরা প্রাণোচ্ছল ভঙ্গিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মেলা প্রাঙ্গন।

 তবে এবারের মেলায় আগতদের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে নতুন চিত্র। মেলায় আগতদের সংখ্যায় পুরুষদের ছাড়িয়ে গিয়েছে নারীরা। অনেক জায়গায় নারীদের একচ্ছত্র আধিপত্য দেখা গেছে। নারীদের মধ্যে অধিকাংশই কিশোরী, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্বিবিদ্যালয়ের ছাত্রী। তরুণীদের পাশাপাশি এসেছেন বিবাহিত নারীরা। স্বামীছাড়া অনেকেই শুধু ছোট ছোট শিশু সন্তানদের নিয়ে মেলায় এসেছেন অনেকেই। সব জায়গায় মেলায় নারীদের সরব উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আবার নারীদের মধ্যে যারা পুরুষ সঙ্গীকে নিয়ে এসেছেন, তাদের দেখা গিয়েছে নারীদের ফরমায়েশ অনুযায়ী চলতে। নারীরা নির্ভয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন স্টলে। কথা বলছেন, করছেন দরদামও। পছন্দ হলে কিনছেন, দরদামে না মিললে মূহুর্তেই চলে যাচ্ছেন অন্য স্টলে। মেলায় আসতে অনেক তরুণী নিয়েছেন বিশেষ সাজ। আধুনিকতার ছোয়া লাগানো সাজ-গোজের পাশাপাশি একই রঙের পোশাক পড়ে দল বেধে এসেছেন অনেকে। মূলত কেনাকাটার পাশাপাশি মেলাকে উপভোগ করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। এ বিষয়ে ৮ জনের কিশোরী গ্রুপে থাকা কলেজছাত্রী আফিয়া জানান, ঈদের সময়ে বান্ধবীরা এক রঙের পোশাক নিয়েছিলাম। সেই পোশাক পরেই মেলায় এসেছি। কথায় কথায় হাসির ঝিলিক দিয়ে বলেন, যদি হারিয়ে যাই..তাহলে খুঁজে পাওয়া সহজ হবে। একই গ্রুপের আরেক সদস্য হৃদিকা জানান ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, মেলা উপভোগ করতে এসেছি। বান্ধবীদের নিয়ে ঘুরাটাই আসল মজা। ঘুরবো, খাবো, পছন্দ হলে কেনাকাটাও করবো। কালো রংকে প্রধান করে সোনালী, মেরুন ও লাল রঙের সঙ্গে যুতসই অলঙ্কার পড়ে মেলায় এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই বান্ধবী। তারা জানান, মাঝে মাঝেই মিল রেখে পোশাক বানাই দুজনে। এবারও তাই করলাম।পার্লার থেকে সেজে এসেছেন..নাকি এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেন, ঘরেই (হাসির ভঙ্গিতে) পার্লার আছে। মানে, সাজার জন্য বাসায় সবকিছুই আছে। তাই পার্লারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। একটু সাজু-গুজু করতে দোষ কী। এভাবেই মেলায় আগত নারীরা মনখুলে উপভোগ করছেন তাদের জীবন। বিশ্লেষকরা বলছেন, নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ হওয়ায় নারীরা এ মেলায় আসতে বেশি উদগ্রীব থাকেন। অন্যান্য মেলাগুলোতে নিরাপত্তার বিষয়টি কম গুরুত্ব পায়। কিন্তু এখানে তা নেই, বাজে মানুষদের উপদ্রব নেই। সবাই সবাইকে সহযোগিতা করে। তাই নারীরা বেড়ানোর জন্য বিশেষ জায়গা হিসেবে বেছে নিচ্ছে এ মেলাকে।


এ জাতীয় আরো খবর
Tech Support By Nagorikit.Com