মুক্তার হাসান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :০৯ জানুয়ারি-২০২৩,সোমবার।
“মির্জাপুরে পুলিশের সোর্স নুরু মিয়া ও তার বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী” সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নরু মিয়া। সোমবার (৯ জানুয়ারী) সকাল ১১টায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নুরু মিয়া জানান,
আমি মো. নূরু মিয়া গ্রাম, গ্রাম-পাইখার ভাওড়া, ভাওড়া ইউনিয়ন, উপজেলা মির্জাপুর, জেলা- টাঙ্গাইল। আমি একজন রাজমিস্ত্রী ৪৫ বছর ধরে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে আসছি। সমাজে বা আশেপাশে কারো সাথে কখনো ঝগড়া বিবাদে জড়াইনি, আমার পেশার কারণে আমাকে সার্বক্ষানিক ব্যবস্ত থাকতে হয়।
গত ২রা জানুয়ারী স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় ”মির্জাপুরে পুলিশের সোর্স নুরু মিয়া ও তার বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়, এই সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই আমার গ্রাম পাইখার ভাওড়া ও আমার ইউনিয়ন ভাওড়া’র জনগনের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রীয়া সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামবাসী আমাকে নানাভাবে বলছে আমরা একসাথে বড় হলাম একই সমাজে বসবাস করছি কোন দিন তোমাকে কারো সাথে অন্যায় অত্যাচার অভিচার করতে দেখেনি অথচ তোমার নামে এমন একটা সংবাদ প্রকাশ হলো।
যতদুর মনে পড়ে আমার ইউনিয়নের ৩নং ওর্য়াডের মেম্বার লিটন মাহমুদকে আজ থেকে প্রায় ৪ বছর পূর্বে মির্জাপুর থানার এ এস আই আশিকুর রহমান ও মিজানুর রহমান ১৫ পিস ইয়াবা সহ গ্রেফতার করে, গ্রেফতারের সময় লিটন মেম্বার আমাকে দেখে ফেলে এবং পুলিশের সামনেই আমাকে হুমকী দিয়ে বলে আমি তোকে দেখে নেব, সেই থেকে আমাকে সুযোগ বুঝে বিপদে ফালানোর জন্য সুযোগ খুজঁতে থাকে।
গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত “বিশ্বকাপ ফুটবল” খেলা দেখা নিয়ে ফতেপুর গ্রামের পায়খার ভাওড়া এলাকায় রাস্তার উপর প্রোজেক্টর লাগিয়ে খেলা দেখছিলো এলাকার লোকজন। সেই রাস্তা দিয়ে এক অটোচালক যাওয়ার সময় কিছু ছেলেপেলে বাঁধা সৃষ্টি করে, বিষয়টি আরেক অটোচালক প্রতিবাদ করলে সেখানে হাতাহাতি ও সামান্য মারপিট হয়, এক পর্যায় বিষয়টি সাবেক ইউপি সদস্য মোখলেছুর রহমান ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গের উপস্থিতিতে মীমাংসা হয়ে যায়। ঘটনার সুত্রধরে পরের দিন ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ইং সন্ধ্যায় খাঁনপাড়া বাজারে মোবাইলের দোকানদার মো.শিবলূ মিয়ার উপর অর্তকিত ভাবে মিঠু মিয়া পিতা আজিজুল মিয়া, রাশেদ মিয়া পিতা মৃত রাশিদ মিয়া,জুয়েল মিয়া,জনি মিয়া,উভয় পিতা ইউসুফ মিয়া, রানা মিয়া পিতা আজাহার মিয়া,রিফাত মিয়া পিতা চাঁন মিয়া, জসিম মিয়া পিতা আব্দুল মিয়া, শরিফ মিয়া পিতা রহিম মিয়া, লিটন মেম্বার পিতা নুরু সরকার, আলীমুল মিয়া আজিজুল মিয়া উভয় পিতা বদর উদ্দিন’সহ আরো বেশ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করে। হামলায় গুরুত্বর আহত হয় শিবলু মিয়া। পরে তাৎক্ষনিক শিবলু মিয়াকে উদ্ধার করে জার্মুকি সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করেন একই দিন রাত আনুমানিক রাত ৮টার সময় মির্জাপুর থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শিবলু মিয়া। বিষয়টি মির্জাপুর থানার এস আই রামকৃষ্ণ তদন্ত করে স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করার জন্য দুই পক্ষকে অনুরোধ করেন।
তার দুই/তিন দিন পরেই টাঙ্গাইল-৭ আসনের সংসদ সদস্য খান আহম্মেদ শুভ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি অনলাইনে পাওয়া যায়, যে চিঠিতে লেখা আছে পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে “নূরু মিয়ার” মাদক বিক্রি সহ এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধের আবেদন, চিঠির ভীতরে আছে নূুরু মিয়া মাদক বিক্রি সেবন ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সেখান থেকে এলাকাবাসী নিস্তার চায়। ইতি পূর্বে মাদকের একটি মামলা নূরু মিয়ার বিরুদ্ধে আছে বলে দাবি করা হয়। এমনই একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে মাননীয় সংসদ সদস্য স্বাক্ষর করে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনর্চাজকে তদন্ত করার নির্দেশ প্রদান করেন।
বিষয়টি জানতে পেরে আমরা এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে নিয়ে মাননীয় সংসদ সদস্য খান আহম্মেদ শুভ’র নিকট গিয়ে তার কাছে সর্ম্পুণ ঘটনা খুলে বলি, তিনি ঘটনা শুনে তাৎক্ষনিক মির্জাপুর থানার অফিসার ইনর্চাজকে ফোন করে বলেন বিষয়টি আরো ভালো করে তদন্ত করে দেখার জন্য। সংসদ সদস্যের নিকট যখন আমরা বলি মাদক বিক্রীর বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার, মাদক প্রতিহত করার জন্য আমরা সব সময় কাজ করে যাচ্ছি। তিনি তখন বিষয়টি বুঝতে পারেন। আমরা এও বলি মাদক সেবন ও বিক্রেতাদের যখন পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছি ঠিক তখনই এই সমস্ত খারাপ লোকগুলো আমাদের বিপদে ফালানোর জন্য উৎপেতে বসে থাকে। সংসদ সদ্যসের কাছে আমি চ্যালেঞ্জ করে বলে আসছি আমি নুরু মিয়া যদি মাদকের সাথে এক বিন্দু জড়িত থাকি তাহলে আইন ও আপনি যে শাস্তি দিবেন আমি মাথা পেতে নেব।
প্রিয় সাংবাদিক ভাইদের কাছে অনুরোধ আপনারা সমাজের বিবেক আপনাদের লিখনির মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করুন। আমি এই মিথ্যা সংবাদ ও আমার সুনাম ক্ষুন্য করার জন্য যারা দায়ী তাদের দিক্কার ও প্রকাশিত সংবাদের জোড় প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাইখার ভাওড়া গ্রামের কন্ট্রাকটর আবুল হোসেন, ঠিকাদার আব্দুল বাছেদ, আরিফ মিয়া, স্থানীয় এলাকাবাসি লুৎফর রহমান, মোঃ আমজাদ মোল্যা, মোঃ আব্দুল আওয়াল, মোঃ শিপলু মিয়া প্রমূখ।