গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের দরগাচালা গ্রামের মৃত আছমত আলীর ছেলে মোঃ আলমগীর হোসেনের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে হামলা চালানো হয়েছে। এঘটনায় গত (১৭ জানুয়ারি) রাতে দশজনকে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন, দরগাচালা গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে মোঃ জিয়াউর রহমান, মোঃ মানিক হোসেন,মৃত সবজে আলী মোঃ মমতাজ উদ্দিন,মৃত সোবহান মফিজ উদ্দিন চাঁন মিয়ার ছেলে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ আকলিমা, মানিক হোসেনের স্ত্রী লিপি, ফজলুল হকের ছেলে মো: নয়ন, নূরুজ্জামানের ছেলে সজিব হোসেন, দুলাল মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ আনোয়ারা সহ অজ্ঞাতনামা চার পাঁচজন।
আলমগীর হোসেন জানান, অন্যায় ভাবে জমির উপর চলাচলের রাস্তা বিবাদীদের নিকট বিক্রয় করার জন্য বলে। আমি তাহদের নিকট রাস্তা বিক্রয় না করায় বিবাদীরা ইতিপূর্বে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। তারা ধারাবাহিকতায় রাত সাড়ে আটটার দিকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ধারালো দা, লাঠি, লোহার রড, সাবল ও কোড়াল দেশীয় অস্ত্রসহ নিয়ে আমার বাড়ির উঠানে এসে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে এবং দা, লাঠি, কোড়াল উত্তোলন করিয়া আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধাওয়া করে। আমরা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে প্রাণে রক্ষা পায়। আমাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের এলাকার কয়েকশ’ প্রতিবেশী জড়ো হয়। পরবর্তীতে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
স্থানীয় অটোরিকশা চালক শহিদ মিয়া বলেন, বিনা কারণে আলমকে জেল খাটানো হয়েছে। কোন মারামারি কিংবা চলাচলের রাস্তা বন্ধ করতে আমরা দেখিনি। অযথা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এছাড়াও সম্প্রতি তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে।একই রকম কথা জানিয়েছেন ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আবদুস সাহিদ ও আয়েশা।
প্রত্যক্ষদর্শী হাজেরা বেগম বলেন, জিয়া ও মানিক এবং তাদের স্ত্রীসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে রাত সাড়ে আটটার দিকে আলমের বাড়ির উঠানে গিয়ে তাদের ধাওয়া করে, আমরা ঘরের জানালা দিয়ে দেখেছি,ভয়ে বের হয়নি। রাস্তা বাঁধা দেয়ার বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, সকালে জিয়ার পরিবার কাঁটা তারের বেড়া এবং খেজুর গাছের কাটা দিয়েছে। আলম কোন বাধা দেয়নি। চলাচলের রাস্তা রেখে তার নিজের জমিতে বেড়া নির্মাণ করেছেন।
অভিযুক্ত জিয়াউর রহমান মুঠোফোনে হামলার ঘটনা অস্বীকার করেন। অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
শ্রীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, এঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। একজন এসআইকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।