মোঃ খান সোহেল স্টাফ রিপোর্টার:২৯ জুন-২০২২,বুধবার।
আশ্রয় কেন্দ্রগুলো থেকে মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। দৃশ্যমান হচ্ছে রাস্তাঘাট ও ঘর-বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি। তবে জেলার খালিয়াজুরি, কলমাকান্দা, মোহনগঞ্জ, দুর্গাপুর, মদন ও বারহাট্টা এই পাঁচ উপজেলাসহ সারা জেলায় এখনো লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতেও রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় জানায়, জেলার আট উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো ২৯ হাজার ৯২৮ জন বন্যার্ত মানুষ অবস্থান করছেন। বন্যার পানিতে এ পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ। মোহনগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহম্মেদ আকঞ্জি জানান, বন্যার পানি কমে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। এখনো যারা আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন তারাও বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ঘর-বাড়ির তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাদের সরকারি সহায়তা দেয়া হবে। বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে প্রশাসনের ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। মোহনগঞ্জের মাঘান সিয়াদার ইউনিয়নের ঘোড়াউত্রা গ্রামে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পাঁচ শতাধিক বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও চিকিত্সাসেবা দিয়েছেন। এসময় ঘোড়াউত্রা গ্রামে বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন সেনাবাহিনীর ডিজি-এমএস মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান ও ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল নকীব আহমেদ চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সেনাবাহিনীর ৭৭ ব্রিগেডের কমান্ডার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান, ৮ ইস্ট বেঙ্গল টাস্কফোর্স কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ইমতিয়াজুর রহমান, মোহনগঞ্জ আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন নাজমুস সাকিব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহম্মেদ আকঞ্জিসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সেনাবাহিনীর সদস্য।