কালের কাগজ ডেস্ক:১৭ নভেম্বর ২০২৩, শুক্রবার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অস্ত্র হাতে, রাতের অন্ধকারে না, ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন হবে। সবসময় আমাদের লক্ষ্য ছিল জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা।’
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের অফিস ও জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে বিকেল তিনটায় কার্যালয় আসেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারে আসার পর থেকে একের পর এক নির্বাচন হয়েছে। এখানে নানা ধরনের অনিয়ম দেখেছি। যখনই আমরা সুযোগ পেয়েছি সেগুলো সংশোধন করে জনগণের ভোটের অধিকার যাতে নিশ্চিত হয়, তার ব্যবস্থা করেছি। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন পর্যন্ত করে দিলাম। আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব এই স্লোগান দিয়ে আমরা মানুষকে তাদের ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করি। এবং ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করি।
নির্বাচন বানচালের নামে যারা অগ্নিসন্ত্রাস করছে তাদের ক্ষমা নেই মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষ তাদেরকে ক্ষমা করবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন চায় না। তারা নির্বাচন করতে দেবে না বলে আগেও আগুন দিয়েছে এখনো দিচ্ছে। আগুন সন্ত্রাস ও আগুন নিয়ে খেলা দেশের মানুষ মেনে নেবে না। দেশের মানুষ তাদের প্রতিহত করবে। দেশের মানুষ নির্বাচন বানচাল করতে দেবে না।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, দেশে অনেকেই ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু দেশের মানুষের জন্য কিছুই করেনি। আওয়ামী লীগ বাদে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা শ্রমিকদের জন্য কী করেছে? যা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার করেছে। আওয়ামী লীগের হাত ধরেই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালার বিরাট পরিবর্তন আমরাই নিয়ে আসি। যেটা আমাদের সংবিধানের ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদ… যে সংবিধান জাতির পিতা স্বাধীনতার পর মাত্র নয় মাসের মধ্যে প্রণয়ন করেন এবং পরে দশ মাসের মধ্যে যে সংবিধান কার্যকর হয়। এই সংবিধানের ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদে আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালা স্পষ্ট ছিল যে, জাতীয়করণ হবে।
তিনি বলেন, এর হলো মানে সরকারি, সমবায় ও বেসরকারি এই তিনটি খাতকে গুরুত্ব দেওয়া। সেটি অনুসরণ করেই আমরা অর্থনৈতিক খাতের নীতিমালা প্রণয়ন করি। আমরা সরকারে আসার পর সেই ঠিক সেভাবে বাস্তবায়ন শুরু করি এবং ব্যাপক হারে বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দেই। আমার লক্ষ্য একটাই ছিল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা… যেন মানুষ কাজ পায় ও করার সুযোগ পায় ।