নিজস্ব প্রতিনিধি :২ে৩ ডিসেম্বর-২০২৩
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার পদে (আরএমও) ডা. মো. হাফিজুল ইসলাম কর্মরত আছেন। এ হাসপাতালে যোগদানের পর থেকেই তিনি বেশীরভাগ সময় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম।
জানা গেছে, ডা. মো. হাফিজুল ইসলাম গত ২১ মে আরএমও হিসেবে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। তারপর থেকেই তিনি হাসপাতালে অবস্থান করেন না। থাকেন জেলা সদরে। কর্মদিবসগুলোতে সপ্তাহে ২-৩ দিন অনুপস্থিত থাকেন। অন্যান্য দিনগুলো তিনি হাপাতালে ১১ টার দিকে পৌঁছলেও অফিসে বসেই ফি নিয়ে রোগী দেখেন এবং ৩ টার পরেই হাসপাতাল ত্যাগ করেন। একজন আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে তার হাসপাতালে অবস্থান করে ভর্তি রোগীদের দিনে কমপক্ষে দু’বার ওয়ার্ড ভিজিট করার কথা থাকলেও তিনি তা করেন না। ওয়ার্ড সংলগ্ন নির্ধারিত কক্ষে তার বসার কথা থাকলেও তিনি বসেন প্রশাসনিক ফ্লোরে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক ও স্টাফ জানান, আরএমও সাহেব জেলা আওয়ামীলীগের এক প্রভাবশালী নেতার মেয়ের জামাই হওয়ায় কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছেন না তিনি। ফলে হাসপাতালে ভর্তি রোগী সাধারণ কাঙ্খিত স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। গেলো ৩ মাস অনুসন্ধানে দেখা গেছে,অক্টোবরে অফিস করেছেন ১৮ দিন, নভেম্বরে ১৪ দিন ,চলতি মাসের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুপস্থিত রয়েছেন ৮ দিন।
আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. হাফিজুল ইসলাম বলেন, বৈকালিক চেম্বারে যে কোনো ডাক্তার ফি নিয়ে রোগী দেখতে পারেন। রোগী দেখা,ওয়ার্ডে রাউন্ড দেয়া ও রোগীদের নিয়মিত খাবার-দাবার নিশ্চিত করা ছাড়া আমার আর কোনো কাজ নেই। হাসপাতাল কোয়ার্টারে থাকেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন অফিসে আসেন সাক্ষাতে কথা বলবো।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দা তাসনুভা মারিয়া আরএমও’র দেরীতে অফিসে আসার কথা স্বীকার করে বলেন, উনাকে হাসপাতাল কোয়ার্টারে থাকার কথা বলা হয়েছে। অন্যান্য অভিযোগগুলো দেখবেন বলেও জানান তিনি।