মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
প্রতিমা বিসর্জ্জনে কোন অঘটন ঘটবে না দুর্গো উৎসব যেন ভালো ভাবে উদযাপন করতে পারি —-উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন ধর্ম ও উৎসব যার যার বাংলাদেশ সবার — বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা রিতা টাঙ্গাইলে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪ আহত ২৩ আ’লীগ নেতার হারানো শটগান দুই মাস পর উদ্ধার মানিকগঞ্জে শারদীয় পুজা উদযাপনের নেতৃবৃন্দের সাথে বিএনপির মতবিনিময় সভা মানিকগঞ্জ প্রেসকাবের আহবায়ক কমিটি গঠিত জাহাঙ্গীর বিশ্বাস আহবায়ক, শাহানুর ইসলাম সদস্য সচিব অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান নয়াপল্টনে বিএনপির গণসমাবেশ চলছে হত্যাকান্ডে জড়িত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিচার করতে হবে—সারজিস আলম রাষ্ট্র মেরামতের ভিত্তি হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন : তারেক রহমান

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে তথ্য দিতে গড়িমসির অভিযোগ!

প্রতিনিধির নাম:
  • আপডেট করা হয়েছে: বুধবার, ৬ মার্চ, ২০২৪
  • ২০৭ দেখা হয়েছে:

বুলবুল মল্লিক:টাঙ্গাইল :০৬ মার্চ-২০২৪,বুধবার।
টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নানা বিষয়ের তথ্য প্রদান করতে চরম উদাসীনতা ও গড়িমসি করার অভিযোগ ওঠেছে। তথ্য অধিকার আইনের নির্দিষ্ট ফরম পুরণ করে আবেদন ও আপিল করার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অধিকার কমিটির সদস্যরা একজন অন্যজনের উপর দায় বর্তাচ্ছেন।
জানাগেছে, মাওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ, গঠিত নিয়োগ কমিটির বিবরণ সহ নানা বিষয়ে ১১টি লিখিত প্রশ্ন উপস্থাপন করে তথ্য অধিকার আইনের ‘ক’ ফরম যথাযথভাবে পূরণ করে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর আবেদন করেন দৈনিক বণিক বার্তার টাঙ্গাইল প্রতিনিধি মো. পারভেজ হাসান। নিয়মানুযায়ী তথ্য প্রদানের ৩০ কর্মদিবস অতিক্রান্ত হলেও তাকে তথ্য দেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অধিকার কমিটির আহ্বায়ক এফটিএনএস বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর একে ওবায়দুল হকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা হলে তিনি পারভেজ হাসানকে জানান, তথ্যের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে- তাদের অনুমতি পেলে যথাযথ নিয়ম মেনে তথ্যগুলো সরবরাহ করা হবে। তারপরও কাঙ্খিত
তথ্য না পেয়ে পরে তিনি গত বছরের ১৯ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের(ভিসি) কাছে তথ্য অধিকার আইনের ‘গ’ ফরমে তথ্যের জন্য
রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আপিল করেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে কোনো প্রকার তথ্য দেয়নি এবং তথ্য দেওয়া হবেনা মর্মেও অবহিত করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত তথ্য অধিকার আইনের আওতায় ২-৩টি আবেদন জমা হয়। এরমধ্যে অনেক আগে জমা দেওয়া একটির বিষয় নিষ্পত্তি করা হয়েছে। অন্য দুটি আবেদনের তারিখ দুই মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও ওই বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অধিকার (তথ্য প্রাপ্তি সংক্রান্ত) বিধিমালা, ২০০৯ অনুযায়ী নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক বাংলাদেশের নাগরিক যে কোন
সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাঙ্খিত তথ্য পেতে পারেন।
বিধিমালায় বলা হয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবেদন পাওয়ার পর ২০(বিশ) কার্য দিবসের মধ্যে ক্ষেত্র বিশেষে ৩০ (ত্রিশ) কার্য দিবসের মধ্যে
সফ্ট/ই-মেইল/প্রিন্টেড কপি/ফটোকপি/সিডি কপি আকারে তথ্য প্রদান করবেন। কোন কারণে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তথ্য প্রদানে অপারগ হলে আবেদনকারীকে নির্ধারিত পদ্ধতি/ফরমেট অনুসরণপূর্বক ১০(দশ) কার্য দিবসের মধ্যে লিখিত  ভাবে অবহিত করবেন। এছাড়া আবেদনকারী তথ্য না পেলে বা কোন প্রকার সংক্ষুব্ধ হলে নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের (নির্ধারিত নমুনা/ফরমে) নিকট আপিল করতে পারবেন। আপিল কর্তৃপক্ষ আবেদন পাওয়ার ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করার বিধান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ সদস্যের তথ্য অধিকার কমিটি বিধিমালা সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে আবেদনকারীর অধিকার ক্ষুন্ন করেছেন।
তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে আবেদনকারী দৈনিক বণিক বার্তার প্রতিনিধি মো. পারভেজ হাসান জানান, তিনি বারবার নানাভাবে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে যথাযথ নিয়ম মেনে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে ১১টি তথ্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অধিকার কমিটির কাছে আবেদন করেন। প্রথমে তথ্য অধিকার কমিটির আহ্বায়ক এফটিএনএস বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর একে ওবায়দুল হক আবেদনপত্রটি গ্রহণ করতে
অস্বীকৃতি জানান। পরে পীড়াপীড়ি করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রেসপ্রকাশনা দপ্তরের উপ-পরিচালকের কাছে জমা দিতে বলেন। তিনি উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলমকে ফোন দিয়ে আবেদনটি জমা নিতে বলেন। মো. সামছুল আলম আবেদনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অধিকার কমিটির পক্ষে স্বাক্ষর করে জমা নেন।
তিনি জানান, নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হলেও তথ্য অধিকার কমিটি কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের(ভিসি) কাছে আপিল করেন। আবেদন পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির বিধান থাকলেও অদ্যাবদি তা করা হয়নি। অসুস্থতা জনিত কারণে বিলম্ব হলেও তিনি তথ্য কমিশনের প্রধান তথ্য কমিশনারের কাছে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তথ্য অধিকার কমিটির সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রেসপ্রকাশনা দপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম জানান, তিনি কমিটির আহ্বায়কের নির্দেশে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তথ্য চেয়ে আবেদনটিও তিনি আহ্বায়কের নির্দেশে যথানিয়মে জমা নিয়েছেন।
তথ্য অধিকার কমিটির আহ্বায়ক এফটিএনএস বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর একে ওবায়দুল হক জানান, যেহেতু রেজিস্ট্রার অফিস তথ্য প্রদান করবে। তাই তথ্য প্রাপ্তির আবেদনটি তিনি রেজিস্ট্রার অফিসে ফরোয়ার্ড করে দিয়েছেন এবং রেজিস্ট্রার অফিস এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন সাড়া(রেসপন্স) দেয়নি বা তাকে কিছু জানায়নি।
রেজিস্ট্রার অফিস আবেদিত তথ্যগুলো তাদের কাছে দিলে তিনি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডক্টর মোহা. তৌহিদুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে তথ্য অধিকার কমিটির আহ্বায়ক ডক্টর একে ওবায়দুল হক সাহেবই ভালো জানেন। এসব বিষয়ে তাদের করণীয় তেমন কিছু নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য(ভিসি) প্রফেসর ডক্টর মো. ফরহাদ হোসেন জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত রয়েছেন এবং আবেদিত তথ্যগুলো দেওয়ার মতো হলে অবশ্যই দেওয়া হবে। আর দেওয়ার মতো না হলে আবেদনকারী পাবেন না। তথ্য দেওয়া
না হলেও আবেদনকারীকে জানানো হবে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি উল্লেখিত
বক্তব্য পুন:ব্যক্ত করেন।

আর্টিকেলটি শেয়ার করুন:

এই ক্যাটাগরির আরো খবর
© All rights reserved ©
themesba-lates1749691102