মুক্তার হাসান, টাঙ্গাইল থেকে ঃ১১ মে-২০২৪
চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে টাঙ্গাইলে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়, কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং কৃষি বিভাগের প্রনোদনা ও সহযোগিতার কারনে বোরো ধানের ফলনও হয়েছে গত বছরের চেয়ে অনেক ভালো। ধানের ভাল ফলন পেয়ে খুশী কৃষকরা। ইতিমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে জেলার অনেক জাগায়। কৃষকরা এখন নতুন ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে টাঙ্গাইল জেলায় বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল এক লাখ ৭৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমি। কিন্তু আবাদ হয়েছে এক লাখ ৭৬ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে। এখান থেকে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ লাখ মেট্রিক টন। বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধির জন্য কৃষি বিভাগের প্রনোদনা কর্মসুচীর আওতায় তালিকাভুক্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের দেয়া হয়েছে উচ্চ ফলনশীন জাতের ধানের বীজ ও সার। ধানের ফলন বৃদ্ধি করার জন্য মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষনিক কৃষকদের পাশে রয়েছেন।
কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতা ও কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারনে ধান আবাদে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। অনুকুল আবহাওয়ার কারনে চলতি মৌসুমে গতবারের চেয়ে ধানের ভালো ফলন হয়েছে। জমির সঠিক পরিচর্জার কারনে এবার পোকা-মাকরের আক্রমন নেই বললেই চলে। এর ফলে খুশী কৃষকরা। প্রখর রোদ থাকায় ইতিমধ্যে পাকছে জমির ধান। কৃষকরা এখন জমি থেকে পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
টাঙ্গাইল কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষন অফিসার মোহাম্মদ দুলাল উদ্দিন জানান, চারিদিকে এখন পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ। চলতি মৌসুমে উৎপাদিত ধান থেকে সাত লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ের আগেই সকল জমির পাকা ধান যাতে কৃষকরা ঘরে তুলতে পারেন সে পরার্মশ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।