নিজস্ব প্রতিবেদক ::৩০ মে-২০২৪,বৃহস্পতিবার।
মানিকগঞ্জের ঘিওরের নিলুয়া বিল সরকারি জলমহাল ইজারা নিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মাটি কেটে বিক্রি করার মহাউৎসব শুরু করেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রনি। ছাত্রলীগ নেতার দাবী ইউএনও’র নির্দেশে জলমহাল সংস্কার করা হচ্ছে। ৫ ল ৫০ হাজার টাকা দিয়ে জলমহাল ইজারা নিয়ে মাটি বিক্রির জন্য ট্রাক চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মান করতে ১০ লক্ষ টাকা ।
গতমাসে ঘিওর উপজেলা প্রশাসনের কাছে থেকে তিন বছরের জন্য উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের নিলুয়া বিল জলমহাল ইজারা নেন ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রনি। সংস্কারের নামে সরকারি ওই জলমহাল থেকে এক্সেভেটর ( ভেকু ) দিয়ে প্রতিদিন কয়েক শত ট্রাক মাটি কেটে বিক্রি করছে উপজেলা ছাত্রলীগের ওই নেতা।
সরেজমিন দেখা যায়, ওই জলমহালের পাশেই স্থায়ীভাবে একটি ছাপড়া ঘর স্থাপন করেছে ইজারাদার। ওই ঘর থেকে মাটি গাড়ির স্লিপ দিচ্ছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শুভ আহমেদ টুকুন। জলমহাল থেকে এক্সেভেটর (ভেকু) দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। আর ওই মাটি আরিচা-দৌলতপুর-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজে ড্রাম্প ট্রাকে মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে। জলমহালের দুইপাশে হালকা উচু করে পার বাধার কাজ করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাছ চাষের জন্য জলমহাল ইজারা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতারা মাটির ব্যবসা করছে। জলমহাল থেকে মাটি কেটে আঞ্চলিক মহাসড়কের ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করা হচ্ছ।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ শুভ আহমেদ টুকুন বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি রনি ৫ ল ৫০ হাজার টাকা দিয়ে জলমহাল ইজারা নিয়েছে। জলমহাল সংস্কারের অনুমতি আছে ইউএনও’র। সংস্কারের অনুমতির কাগজ দেখতে চাইলে তিনি বলেন সভাপতির কাছে কাগজ আছে।তিনি আরো বলেন প্রায় ১০ ল টাকা খরচ হয়েছে মাটির ট্রাক নেয়ার রাস্তা বানাতেই।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও জলমহালের ইজারাদার মেহেদী হাসান রনির সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, নিলুয়া জলমহাল তিন বছরের জন্য ইজারা দেয়া হয়েছে। মাছ চাষের উপযোগী করতে ইজারাদার সংস্কার করতে পারবে। বালু মাটি আইনে ইজারায় এই অনুমতি আছে। মাটি বিক্রির বিষয়ে তিনি আরো বলেন, মাটি রাখার জায়গা না থাকলে ইজারাদার মাটি কি করবে। মাটি তো সরাতে হবে?