প্রেস বিজ্ঞপ্তি :২৯ জুলাই-২০২৪ ,সোমবার।
গত ৪ জুলাই ২০২৪ খ্রি. তারিখে ‘‘দৈনিক এই বাংলা’’ পত্রিকায় শেষের ৮ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত রিপোর্টে ‘দৌলতপুর ভূমি অফিস নাজিরের মাত্রাতিরিক্ত দুর্নীতি’-বিশেষ প্রতিবেদক (মানিকগঞ্জ) শিরোনামে আমি মোঃ মাহবুব আলম বাবলু পিতামৃত- ফটিক মিয়া এবং আমার ০৩(তিন) ছেলে ১। মোঃ সোহেল মাহবুব ২। মোঃ রাসেল মাহবুব ৩। মোঃ তারেক মাহবুব এর নামে মিথ্যা, বানোয়াট , বিভ্রান্তিমূলক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সম্মান হানিকর কিছু অভিযোগ ছাপানো হয়েছে। আমি এই মিথ্যা, বানোয়াট সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
রিপোর্টটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আমি ও আমার ছেলেরা দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী, জোরপূর্বক মানুষের ভূমি জবর দখল করে আসছি, ভেকু ও ড্রেজার ব্যবসায়ীদের নিকট হইতে আমরা মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করে অবৈধভাবে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনের কাজে সহযোগিতা করে আসছি। আমার বড় ছেলে মোঃ সোহেল মাহবুব ভূমি অফিসে নাজির হিসেবে কর্মরত থেকে বিভিন্ন ধরণের দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসছে যা চরম মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমি ইহার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
এসকল মিথ্যা,বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থের উদ্দেশ্যে হয়রানিমূলক সংবাদ যাহা শুধুমাত্র এই বাংলা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এর বিরুদ্ধে আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এমনকি ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে সংবাদপত্রের মতো মহান প্লাটফর্মকে বিতর্কিত এবং সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাকে কলুসিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট স্বার্থান্বেষী মহলের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পৈত্রিক সম্পত্তি বন্টনের জের হিসেবে আমার বৈমাত্রিয় বড় ভাই জনাব মোহাম্মদ আলী পিতামৃত-ফটিক মিয়া ও তার তিন পূত্র (১) মহিদুর রহমান মুক্তা (২) মহসীন মিয়া (৩) আল মামুন পলাশ ও তার কন্যারা ও কন্যাদের স্বামীদের সম্মিলিত অভিসন্ধির ফলাফল হচ্ছে উক্ত সংবাদ প্রকাশ। আমি তাহার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
তাহারা, আমাকে ও আমার ছেলেদেরকে বিভিন্ন সময়ে নানা রকম হুমকি প্রদর্শন,নানা রকম মিথ্যা মামলায় জড়ানো ও নানা মহলে আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার অভিযোগ করিয়া চলিয়াছে। এমনকি আমি ও আমার ছেলেরা যদি আমার পৈত্রিক সম্পত্তি দাবী করি তাহলে আমাদেরকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করা হবে মর্মে হুমকি দেয় তারই জের হিসেবে আমার বড় ছেলে সোহেল মাহবুব, নাজির ভূমি অফিস, দৌলতপুর,মানিকগঞ্জ এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে চাকুরীচ্যুত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে আমি তাহার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
উল্লেখ্য যে, আমার পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়া ২৩৯/১৫ নং – বাটোয়ারা মামলা চলমান থাকাবস্থায় আমার বৈমাত্রিয় বড় ভাই জনাব মোহাম্মদ আলী পিতামৃত-ফটিক মিয়া তাহার হিস্যাতিরিক্ত এমনকি আমার হিস্যায় বৈধপ্রাপ্য পৈত্রিক বসতঃ ভিটাসহ ভূমি তাহার ছেলে-মেয়ে ও নাতি-নাতনীদের নামে অবৈধভাবে হস্তান্তর করে এবং পরবর্তীতে তাহারা একক নামে নামজারীর আবেদন করিলে আমি রেকর্ডীয় বৈধ মালিক হইয়া আপত্তি দাখিল করিলে ১০৪/২০২৩-২৪- নং নামজারী কেসটি সহকারী কমিশনার ভূমি মহোদয় নামঞ্জুর করিলে পারিবারিকভাবে আমার বড় ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করিয়া বিভিন্ন দপ্তরে পত্র প্রেরণ করে। বিগত ২০/০৯/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে মাননীয় জেলা প্রশাসক মানিকগঞ্জ মহোদয় এর এল,এ শাখার এল,এ কেস নম্বর ০৬/২০২২-২৩ এর ০৫.৩০.৫৬০০.৩০৩.০২.০১১.২২-৪৮/১ (৬৪৭) নং স্মারকে আমরা রেকর্ডীয় মালিক বরাবর অধিগ্রহণের নোটিশ প্রেরণের পর হইতে আমার বৈমাত্রিয় বড় ভাই, ভাতিজা,ভাতিজী ও ভাতিজী জামাইদের হুমকি-ধামকিসহ বিভিন্ন মানুষের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন দপ্তরে আমার বড় ছেলে মোঃ সোহেল মাহবুব এর বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ দাখিল করিয়াছে যাহা উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান দৌলতপুর এর তদন্ত প্রতিবেদনে সকল অভিযোগসমূহই পারিবারিক সম্পত্তি বন্টন ও ভোগদখলের জের ধরেই ঘটানো মিথ্যা অভিযোগ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষেই পৈত্রিক সম্পত্তি জোরপূর্বক ভোগদখলের লালসায় ‘‘দৈনিক এই বাংলা’’ পত্রিকার সম্পাদক জনাব শাহজাহান খান আমার বৈমাত্রিয় বড় ভাই জনাব মোহাম্মদ আলীর মেজ মেয়ের স্বামী ও তাহার ছোট ছেলে উক্ত পত্রিকার সহ-সম্পাদক আল মামুন পলাশ মিথ্যাচারিতা ও অপকর্মে লিপ্ত হইয়া তাহাদের ব্যক্তিগত স্বার্থচরিতার্থে ও কৃপ্রবৃত্তিতে মিথ্যা হয়রানিমূলক সংবাদ নিজেদের পত্রিকায় প্রকাশ করার জন্য আমি তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
বিনীত
মোঃ মাহবুব আলম বাবলু
পিতামৃত-ফটিক মিয়া
গ্রাম-চকমিরপুর, উপজেলা-দৌলতপুর, জেলা-মানিকগঞ্জ।
মোবাইল নাম্বারঃ ০১৭১৫৪০৯৫০০