বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ঘিওরে বৃদ্ধা লায়লার হত্যাকারী তার স্বামী: এসপি গত ১৫ বছর আন্দোলন সংগ্রামে খবর ছিলনা আওয়ামী এজেন্টরা এখন মাঠে নেমেছে— এস.এ জিন্নাহ কবির ঘিওরে গৃহবধূর গলা কাটা লাশ উদ্ধার দৌলতপুরে ইউসুফ হত্যা মামলায় দুইজন গ্রেফতার তারেক রহমানের রাস্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা নিয়ে মাঠ চসে বেড়াচ্ছে এস. এ জিন্নাহ কবির দৌলতপুরে ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে একজনকে পিটিয়ে হত্যা দেশের গণতন্ত্র রক্ষা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্রদলকে সজাগ থাকতে হবে …… সুলতান সালাউদ্দিন টুকু সিরাজগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় ৪জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৮জনের যাবজ্জীবন যমুনা রেলসেতু দিয়ে দ্রুত গতিতে চলল পরীক্ষামুলক ট্রেন গত ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রামে দেখা যায়নি বিএনপি নামধারী আওয়ামী এজেন্টরা মাঠে নেমেছে— এস. এ জিন্নাহ কবীর

নদীর ভাঙ্গনে অর্ধশত পরিবার ভিটেবাড়ি নদীতে। ভাঙন রোধে দুই কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু

প্রতিনিধির নাম:
  • আপডেট করা হয়েছে: বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০২৪
  • ২৮২ দেখা হয়েছে:

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:০১ আগস্ট,২০২৪,বৃহস্পতিবার্
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালিগঙ্গা, ইছামতি ও পুরাতন ধলেশ্বরী নদীর পানি কমলেও ভাঙ্গন তীব্র রুপ ধারন করেছে। গত দুই সপ্তাহে ভাঙনের কবলে অর্ধশত বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন কবলিত ছয়টি স্পটে – ভাঙন রোধে প্রায় দুই কোটি টাকার প্রকল্পে ৪০ হাজার জিও ব্যাগ ফেলাসহ অন্যান্য কাজ শুরু হয়েছে।

ভাঙন কবলিত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ধলেশ্বরীর ভাঙনের কবলে উপজেলার কুস্তা , বেগুননারচী ,শ্রীধরনগর গ্রামের কমপে ৮টি পরিবারের লোকজন চালের টিন, আসবাবপত্র, গবাদি পশু নিয়ে ছুটছে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে।

এ গ্রাম দু’টিতে গত এক সপ্তাহে ধলেশ্বরী নদীতে বিলীন হয়ে গেছে আরো ১২ টি পরিবারের বাড়ি। ভিটামাটিহারা মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন স্বজনের বাড়িতে। এ দিকে উপজেলার জাবরা, তরা, উত্তর তরা ও নকীব বাড়ি এলাকার অন্তত ২০টি বসতবাড়ি, দুই কিলোমিটার রাস্তা ও ফসলি জমি কালিগঙ্গা নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে। ইছামতি নদীর ভাঙনের কবলে পরেছে ২শ বছরের প্রাচীণ ঘিওর হাটের গরু হাটা অংশ, বাসুদেববাড়ি এলাকা।

নদী পাড়ের এসব মানুষের দিন কাটছে ভাঙনের আতংকে। কুস্তা গ্রামের প্রবীণ মনির উদ্দিন জানান, গত এক সপ্তাহে তার ২০ শতাংশ বসতভিটার সবটুকুই গেছে ধলেশ্বরী নদীতে। আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে গেলেও অন্তত ভিটামাটিটুকু অবশিষ্ট থাকে কিন্তু নদীর ভাঙনে সবকিছুই শেষ করে দিয়েছে।

বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের কুশুন্ডা গ্রামের সামেলা বেগম বলেন, সকালে ঘুম ভাঙতেই দেখি বাড়ির উঠানের অর্ধেক নদীতে নিয়ে গেছে। দুইটি ঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছি। আমাদের গ্রামের আরো কয়েক বাড়িতে ভাঙন লেগেছে।

উপজেলার পয়লা ইউনিয়ন পরিষদেও সদস্য ও শ্রীধরনগর গ্রামের মো: মন্টু মিয়া বলেন, গত দশ বছর ধরে নদী ভাঙনে আমাদের গ্রাম একবারে ছোট হয়ে যাচ্ছে। ভাঙন রোধে বিভিন্ন দফতরে অনেক ঘুরাঘুরি করলেও কোন কার্যকরী পদপে কেউ নেননি। এবার এমপি সাহেব এসে সরজমিন দেখে কথা দিয়েছিলেন কাজ শুরু হবে। যথাসময়েই ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলে এলাকাবাসীর উপকার করেছে । আরো কিছু অংশে জিও ব্যাগ ফেললে একটি গ্রাম নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পাবে।

এদিকে গতকাল শুক্রবার ভাঙন কবলিত এলাকা পরির্দশন করেন মানিকগঞ্জ-১ আসনের এমপি সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ। এর আগের সপ্তাহে উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের নিন্দাপাড়া এলাকায় নদী ভাঙন কবলিতদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে ভাঙন রোধে এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু করবেন বলে প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন এমপি জাহিদ। নদীপাড়ের ৬টি স্থানে ভাঙন রোধে কাজ শুরু হয়েছে। দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহন করায় খুশি সংশ্লিষ্ট এলাকার ভুক্তভূগী মানুষজন।

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, ঘিওর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান জনি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম, শিবালয় উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম খান, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: সালামত ফকির, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম, তানজিয়া খন্দকার, ঘিওর ইউপি চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম টুটুল, সিংজুরী ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুর রহমান মিঠু প্রমুখ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বর্ষার শুরুতেই ধলেশ্বরী, ইছামতি ও কালীগঙ্গা নদীর ভাঙনের কবলে পরে উপজেলার শ্রীধরনগর,নকিববাড়ি, কুস্তা, নারচী, বেগুননারচী, বাসুদেববাড়ি, শোলাকুড়িয়া, ঘিওর গরুহাটা, তরা এলাকা। ভাঙনের শঙ্কায় রয়েছে ফসলি জমি, বসতবাড়ি, বাজার, স্থাপনা ও বিদ্যুতের খুঁটি।

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মঈন উদ্দিন বলেন, ভাঙন রোধে প্রায় দুই কোটি টাকার প্রকল্পে ৪০ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা, গাইড বাউন্ডারী নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে। চলমান কাজ শেষ হলে ভাঙন রোধ হবে আশা করছি।

ইউএনও আমিনুল ইসলাম বলেন, উপজেলার কয়েকটি ভাঙন কবলিত স্পটে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে। ভাঙনে তিগ্রস্থদের তালিকা করে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দে খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরন করা হচ্ছে।

সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ বলেন, ঘিওর-দৌলতপুর ও শিবালয় নদীভাঙ্গন কবলিত উপজেলা। প্রতি বছরই নদী ভাঙনে সর্বশান্ত হয় শত শত পরিবার। বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলাম। ভাঙনরোধে কয়েকটি পর্যায়ে ৪০ হাজার জিও ব্যাগ ফেলাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কাজগুলো শেষ হলে নদী ভাঙনের কবল থেকে রা পাবে কয়েক হাজার পরিবার।

#

আর্টিকেলটি শেয়ার করুন:

এই ক্যাটাগরির আরো খবর
© All rights reserved ©
themesba-lates1749691102