মুহ. মিজানুর রহমান বাদল, মানিকগঞ্জ:১৩ অক্টোবর-২০২৪,রবিবার।
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ছোট কালিয়াকৈর হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) মহিলা মাদরাসা ও এতিমখানার এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় পরিচালকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত পরিচালক এসএম এনায়েত হোসেন (৫৫)। সে ওই গ্রামের মৃত নওয়াব আলী মিস্ত্রির ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাদরাসা পরিচালক মাওলানা এনায়েত হোসেন গত ২০ সেপ্টেম্বর বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার এক সহপাঠিকে অফিস কক্ষে ডেকে নেন। এরপর সহপাঠি ছাত্রীকে খাওয়ার জন্য পানি আনতে অন্য কক্ষে পাঠিয়ে দেন তিনি। এ সুযোগে ভিকটিমকে ফ্রিজ থেকে মিষ্টি বের করতে বলে। এ সময় ছাত্রীর নেকাব খুলে জড়িয়ে ধরে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে ওই ছাত্রীকে ঘটনাটি প্রকাশ না করতে ভয়ভীতি দেখায় ওই পরিচালক। তারপরেও ভিকটিম বিষয়টি পরিবারকে জানালে পরিবার স্থানীয় গণ্যমান্যদের কাছে বিচার চায়। বিষয়টি প্রকাশ না করতে স্থানীয় হাবিল হোসেন বাদশা ভিকটিমের পরিবারকে হুমকি দেয়। এঘটনা থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন। ওই ছাত্রীর মা বলেন, স্থানীয় গণ্যমান্যদের কাছে ঘুরে বিচার না পেয়ে থানায় অভিযোগ দিতে দেরি হয়েছে। মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন বলেন, যাচাই করে দেখেছি ঘটনা সত্য। একজন পিতার সমতুল্য শিক্ষকের কাজটি করা ঠিক হয়নি। কমিটির আরেক সদস্য ও বায়রা কলেজের প্রভাষক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি নিন্দাজনক, দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হওয়া উচিত। কোষাধ্যক্ষ ইব্রাহীম দরবেশ �স্থানীয়দের নিয়ে বসে মিমাংসার কথা হয়েছে। অভিযুক্ত ছোট কালিয়াকৈর হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) মহিলা মাদরাসা ও এতিমখানার পরিচালক মাওলানা এস এম এনায়েত হোসেন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করলেও ছাত্রীকে মিষ্টি দেয়ার কথা স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা সিংগাইর থানার এসআই মো. আলী আজম ফরাজী বলেন, অভিযোগের তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে মামলা নেয়া হবে। বার্তা প্রেরক জালাল উদ্দিন ভিকু