স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল :০৬ নভেম্বর-২০২৪,বুধবার।
১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ মাসীহুর রহমান নবীণ সৈনিকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘সততা মানবজীবনের অন্যতম সম্পদ। জীবনের সকল কাজে তোমরা সততা অবলম্বন করবে। মনে রেখো, জীবনে সৎ হবার জন্য তোমার ইচ্ছাই যথেষ্ট। আরও মনে রাখবে- সবার আগে দেশ তারপর আমাদের প্রাণপ্রিয় সেনাবাহিনী এবং সবার পরে নিজের স্বার্থ- সৈনিক হিসেবে এটাই আমাদের প্রত্যয়। বুধবার(৬ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে শহীদ সালাহউদ্দিন সেনানিবাসের শহীদ বীর উত্তম সিপাহী (জিডিএ) নুরুল হক প্যারেড গ্রাউন্ডে সদর দপ্তর আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের অন্তর্ভুক্ত আর্মি মেডিকেল কোর সেণ্টার অ্যান্ড স্কুল কর্তৃক পরিচালিত রিক্রুট ব্যাচের সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি স্মরণ করছি- মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। যাদের রক্ত ও ত্যাগে আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। বিশেষভাবে স্মরণ করছি- আর্মি মেডিকেল কোরের ১৫জন অফিসারসহ ১৩৭জন শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধাদের। তাদের মহান আত্মত্যাগ এই কোরের গৌরবান্বিত ও মহিমান্বিত করেছে। দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রা এবং শান্তি রায় যে কোন দুর্যোগ ও মানবতার সেবায় এই কোরের আত্মত্যাগ ও সাহসিকতা রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত-নন্দিত।
ওই অনুষ্ঠানে ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ মাসীহুর রহমান প্রধান অতিথি ও প্যারেড রিভিউইং অফিসার হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন।
সমাপনী কুচকাওয়াজে প্যারেড কমান্ডার ছিলেন মেজর আসাদুজ্জামান অনিক। সার্বিক তত্ত¡াবধানকারী অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন- প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি কমান্ড্যাণ্ট কর্নেল সৈয়দ হাসান মাহমুদ হোসেন। প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন, প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক লেফটেন্যাণ্ট কর্নেল মোহাম্মদ আনোয়ারুস সাদাত।
এসময় সদর দপ্তর আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড(আর্টডক) এবং ঘাটাইল এরিয়ার ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা এবং সামরিক বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশ, ৮১তম সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ৪১৮জন রিক্রুট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে আর্মি মেডিকেল কোরে নবীণ সৈনিক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। এরমধ্যে এ বছর ১২৯জন মহিলা রিক্রুট যোগদান করে।