শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
আওয়ামী লীগ এখনও স্বাধীনতা নষ্ট করার অপচেষ্টা করছে – বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা রিতা ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যার প্রতিবাদে,হরতাল-ভাংচুর- অগ্নিসংযোগ, উপজেলাজুড়ে আতংক বিরাজ করছে ঘিওরে সাবেক ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা । আহত ৬ জন বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের মিডিয়া ক্রমাগত মিথ্যাচারে লিপ্ত — রুহুল কবির রিজভী দৌলতপুরে ৭৯৫ রোহিঙ্গা জন্মনিবন্ধনের অভিযোগ উঠেছে । তদন্ত কমিটি গঠন খুনি হাসিনাকে গণহত্যার দায়ে কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর জন্য দেশে আসতে হবে-         সাইদুর রহমান বাচ্চু শহীদ জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ঢাকা বিভাগের খেলা মানিকগঞ্জে অনুষ্ঠিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ছালাম পিন্টুর মুক্তিতে টাঙ্গাইলে মিষ্টি বিতরণ মানিকগঞ্জে তিন দিনে ক্লুলেস হত্যাকান্ডে রহস্য উদঘাটনসহ হত্যাকারী গ্রেফতার শিক্ষার্থীরা ঝড়ে পড়ার অনেকগুলো কারণ আমরা খুঁজে পেয়েছি …গণশিক্ষা উপদেষ্টা

অসময়ে যমুনার রুদ্রমূর্তিতে আতঙ্কে দেড় শতাধিক পরিবার

প্রতিনিধির নাম:
  • আপডেট করা হয়েছে: বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৫৬ দেখা হয়েছে:

স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল :০৫ নভেম্বর-২০২৪,বুধবার।
অসময়ে আগ্রাসী যমুনা রুদ্রমূর্তি ধারণ করায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরপৌলী গ্রামের দশখাদা এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার(৫ নভেম্বর) সকাল থেকে ভাঙনের কবলে পড়ে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়ি নদীর পেটে চলে গেছে। আতঙ্কে রয়েছে দেড় শতাধিক পরিবার।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, প্রতিনিয়ত শ’ শ’ বালুবাহী বাল্কহেড নদীর তীর ঘেষে চলাচল করায় যমুনা রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে ১৫টি পরিবারের ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ফলে ওই পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। নদীতীর ঘেষা দেড় শতাধিক পরিবার ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, শুষ্ক মৌসুমেও যমুনা রুদ্রমূর্তি ধারণ করায় নদী তীরবর্তী চরপৌলী গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। হঠাৎ করে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে যমুনার দশখাদা এলাকায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে ১৫টি ঘর-বাড়ি যমুনার পেটে চলে যায়। পাউবো দ্রæত ভাঙনরোধে পদপে গ্রহণ না করলে আগামি কয়েকদিনের মধ্যে জেলার সবচেয়ে বড় চরপৌলী গ্রামের দেড় শতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ি যমুনাগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যে ভাঙন আতঙ্কে অনেকে ঘর-বাড়ি অন্যত্র সড়িয়ে নিচ্ছে। তারা অতিদ্রæত শুষ্ক মৌসুমের ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
মঙ্গলবারের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত সাইফুল ইসলাম ও আব্দুল খালেক জানান, তারা দিনমজরী করে দিনাতিপাত করেন। এক সময় জমি-জমা, অর্থ-সম্পদ সবই ছিল। রাক্ষুসী যমুনা সব কেড়ে নিয়েছে। তারা দুজনেই চারবার যমুনার ভাঙনের শিকার হয়েছেন। এবারের ভাঙনে তারা পথে বসে পড়েছেন। সরকারি সহযোগিতা না পেলে তারা আরও বিপাকে পড়বেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইব্রাহিম খা, সাইফুল ইসলাম সবুজ জানান, ইতোপূর্বে কয়েক দফায় তাদের ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অল্পকিছুদিন আগে তাদের এলাকার আড়াই সহ¯্রাধিক ঘর-বাড়ি যমুনা কেড়ে নিয়েছে। মঙ্গলবারও ১৫টি পরিবারের ঘর-বাড়ি বিলীন হয়েছে। নদীতীর রক্ষায় নি¤œমানের জিওব্যাগ ফেলায় অসময়ে যমুনার ¯্রােতে তীর ভেঙে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ঠিকাদারের শাস্তির পাশাপাশি তিগ্রস্তদের তিপূরণ দেওয়ার দাবি করেন তারা।
কাকুয়া ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে হঠাৎই যমুনাতীরে ভাঙন শুরু হয়। এতে ১৫ পরিবার ঘর-বাড়ি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৭০ লাখ টাকার ক্ষয়তি হয়েছে। সরকারের প থেকে সহযোগিতা না করা হলে তাদের খোলা আকাশের নিচে অথবা অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হবে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়,
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ণ বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান জানান, যমুনা নদী সব সময়ই আগ্রাসী- এটা যে কোন সময় রুদ্রমূর্তি ধারণ করতে পারে। ভাঙনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপকে জানানা হয়েছে। অসময়ে যমুনার ভাঙনরোধে দ্রæত পদপে গ্রহণ করার প্রতিশ্রæতি দেন তিনি।

 

আর্টিকেলটি শেয়ার করুন:

এই ক্যাটাগরির আরো খবর
© All rights reserved ©
themesba-lates1749691102