বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ঘিওরে বৃদ্ধা লায়লার হত্যাকারী তার স্বামী: এসপি গত ১৫ বছর আন্দোলন সংগ্রামে খবর ছিলনা আওয়ামী এজেন্টরা এখন মাঠে নেমেছে— এস.এ জিন্নাহ কবির ঘিওরে গৃহবধূর গলা কাটা লাশ উদ্ধার দৌলতপুরে ইউসুফ হত্যা মামলায় দুইজন গ্রেফতার তারেক রহমানের রাস্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা নিয়ে মাঠ চসে বেড়াচ্ছে এস. এ জিন্নাহ কবির দৌলতপুরে ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে একজনকে পিটিয়ে হত্যা দেশের গণতন্ত্র রক্ষা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্রদলকে সজাগ থাকতে হবে …… সুলতান সালাউদ্দিন টুকু সিরাজগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় ৪জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৮জনের যাবজ্জীবন যমুনা রেলসেতু দিয়ে দ্রুত গতিতে চলল পরীক্ষামুলক ট্রেন গত ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রামে দেখা যায়নি বিএনপি নামধারী আওয়ামী এজেন্টরা মাঠে নেমেছে— এস. এ জিন্নাহ কবীর

আজ বগুড়া হানাদার  মুক্ত দিবস

প্রতিনিধির নাম:
  • আপডেট করা হয়েছে: শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৪৪ দেখা হয়েছে:
 ( বগুড়া) প্রতিনিধি : ১৩ ডিসেম্বর-২০২৪,
আজ ১৩ ডিসেম্বর বগুড়া হানাদার  মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে মিত্রবাহিনীর সহায়তায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে বগুড়া শহর মুক্ত করে। এর আগে ১৯৭১ সালে ১০ ডিসেম্বর ভোরে মিত্র বাহিনীর ৬৪ মাউন্টেন রেজিমেন্টি ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার প্রেম সিংহ এক ব্রিগেড সৈন্য নিয়ে বগুড়া শহরের ৩ কিলোমিটার উত্তরে নওদাপাড়া-চাঁদপুর ও ঠেঙ্গামারা গ্রামের মধ্যবর্তী স্থান লাঠিগাড়ি মাঠ সংলগ্ন বগুড়া রংপুর শহরে অবস্থান নেয়। তারা বগুড়া শহরে থাকা পাকিস্তানি সৈন্যদের অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে শহরে অভিযান পরিচালনার জন্য ট্যাংক নিয়ে শহর অভিমুখে মার্চ করে। ১০, ১১ ও ১২ ডিসেম্বর তুমুল যুদ্ধ হয়। ১৩ ডিসেম্বর সকালে সাঁড়াশি আক্রমণ শুরু হয় পাক বাহিনীর ওপরে। শহরের ফুলবাড়ী এলাকায় মিত্র ও মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে পাক বাহিনীর তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়। তীব্র আক্রমণের মুখে পাকবাহিনী পিছু হটে। পরে ওইদিন দুপুরে ফুলবাড়ী সংলগ্ন শহরের বৃন্দাবন পাড়া এলাকায় পাক বাহিনীর প্রায় ৭০০ সৈন্য আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয়। তাদেরকে বন্দী করে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যালয়ে মিত্র বাহিনীর হেফাজতে রাখা হয়। একইদিন অন্যান্য অংশের পাকবাহিনী বগুড়া পৌর পার্কে আশ্রয় নিলে সেখানেও আক্রমণ চালায় মুক্তিযোদ্ধারা। পরে পৌর পার্ক থেকে পাক বাহিনীর ১৩৭ জনকে আহত অবস্থায় আটক করেন মুক্তিযোদ্ধারা। সেখানে ৩৭ জন পাক সেনার মৃতদেহ পাওয়া যায়। একই দিন বগুড়া শহর ছাড়াও কাহালু, নন্দীগ্রাম ও দুপচাঁচিয়া থানা হানাদার মুক্ত হয়। এর আগে নভেম্বরের শেষদিকে সারিয়াকান্দি থানা প্রথম হানাদার বাহিনী মুক্ত হওয়ার পর একে একে বগুড়ার সোনাতলা, গাবতলী, শিবগঞ্জ, ধনুট, শেরপুর মুক্ত হয়। আদমদিঘী হানাদার মুক্ত হয় ১২ ডিসেম্বর। ফুলবাড়ীতে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের স্মরণে ২০০৫ সালে ‘মুক্তির ফুলবাড়ী’ নামে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় নির্মিত হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ স্কয়ার।##

আর্টিকেলটি শেয়ার করুন:

এই ক্যাটাগরির আরো খবর
© All rights reserved ©
themesba-lates1749691102