শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
নিজ জেলায় গান গেয়ে মাতিয়ে গেলেন জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পী কনকচাঁপা ঘিওরে বৃদ্ধা লায়লার হত্যাকারী তার স্বামী: এসপি গত ১৫ বছর আন্দোলন সংগ্রামে খবর ছিলনা আওয়ামী এজেন্টরা এখন মাঠে নেমেছে— এস.এ জিন্নাহ কবির ঘিওরে গৃহবধূর গলা কাটা লাশ উদ্ধার দৌলতপুরে ইউসুফ হত্যা মামলায় দুইজন গ্রেফতার তারেক রহমানের রাস্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা নিয়ে মাঠ চসে বেড়াচ্ছে এস. এ জিন্নাহ কবির দৌলতপুরে ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে একজনকে পিটিয়ে হত্যা দেশের গণতন্ত্র রক্ষা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্রদলকে সজাগ থাকতে হবে …… সুলতান সালাউদ্দিন টুকু সিরাজগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় ৪জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৮জনের যাবজ্জীবন যমুনা রেলসেতু দিয়ে দ্রুত গতিতে চলল পরীক্ষামুলক ট্রেন

সিরাজগঞ্জে  সংগ্রহ অভিযানে চালে সাড়া পাওয়া গেলেও ধান দিতে আগ্রহ নেই কৃষকের

প্রতিনিধির নাম:
  • আপডেট করা হয়েছে: মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৫৯ দেখা হয়েছে:
এইচএম মোকাদ্দেস ,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :৩১ ডিসেম্বর-২০২৪,মঙ্গলবার।
সিরাজগঞ্জে আমন মৌসুমে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযানে ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। প্রায় দেড় মাসে গুদামে ধান সংগ্রহে তেমন সাড়া মেলেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাযায়, সিরাজগঞ্জে এবার ৯টি উপজেলার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ৫ হাজার ৪’শ ৩৩ মেট্রিক টন ধান ও মিলারদের কাছ থেকে ৮ হাজার ৯৮ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরমধ্যে ধান ৩৩ টাকা ও চাল ৪৭ টাকা কেজি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট খাদ্য বিভাগ গত ১৭ নভেম্বর থেকে এ ধান চাল ক্রয় অভিযান শুরু করেছে এবং আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারী এ ক্রয় অভিযান শেষ হবে।
তবে প্রায় দেড় মাসেও জেলার ৯টি খাদ্য গুদামে ধান সংগ্রহে তেমন কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
তবে চাল সংগ্রহে জেলার ৯টি উপজেলার তালিকাভক্তু ৩৯১জন  মিলারের মধ্যে ২৮৫জন মিলার এবার চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। চুক্তিবদ্ধ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮০৯৮.৬৮০ মেঃটন এর মধ্যে  মিলারদের কাছ থেকে  এ পর্যন্ত জেলার  ৯টি উপজেলায় ৪৩৫৯.৪৫০ মেঃটন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। যা অর্জিত লক্ষ্যমাত্রার ৫৪ শতাংশ এবং ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৪৩৩ মেঃটন এ পর্যন্ত সংগ্রহ  করা হয়েছে ১৩৩.৪০০ মেট্রিক টন। এ অভিযানে জড়িত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজার মূল্য বেশি থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
 নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিলার বলেন, লাইসেন্স রক্ষায় খাদ্য বিভাগের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি এবং ইতিমধ্যে কিছু চালও সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব কারণে খাদ্য গুদামগুলোতে অনেক শ্রমিক এখন প্রায় বেকার হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, সরকার ঘোষিত মূল্যের চেয়ে বাজারে ধানের মূল্য বেশি থাকায় কৃষকেরা এখন গুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহী  না এবং বেশিরভাগ কৃষকই বাজারে বেশি দামে বিক্রি করার অপেক্ষায় রয়েছেন।
এবিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হারুনর রশীদ যায়যায়দিনকে জানান, জেলায় তালিকাভুক্ত ৩৯১ টি চালকল রয়েছে। এসব চালকলের মধ্যে ২৮৫ জন চালকল মালিক চাল সংগ্রহে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ইতিমধ্যেই ৫৪ শতাংশ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে  বাকি সময়ের মধ্যে পুরোপুরি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। তবে এখন পর্যন্ত ধান সংগ্রহে তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও  ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চেষ্টা চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।###

আর্টিকেলটি শেয়ার করুন:

এই ক্যাটাগরির আরো খবর
© All rights reserved ©
themesba-lates1749691102