নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৪ ডিসেম্বর,শুক্রবার ।
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে বিএনপি প্রার্থী মঈনুল ইসলাম শান্ত মোটরসাইকেল বহরের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপর দিকে আওয়ামীলীগের দাবি বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের নির্বাচনী প্রধান ক্যাম্প ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভাংচুর করেছে। আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবিতে। এনিয়ে বিএনপি ও আওয়ামীলীগের মধ্য উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মানিকগঞ্জ -২ আসনে বিএনপির প্রার্থী মঈনুল ইসলাম শান্ত জানান, কয়েক দিন ধরেই তাদের প্রচারনার কাজে প্রতিবন্ধকতা করে আসছিল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। এনিয়ে শুক্রবার সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তার কাছে মৌখিক ভাবে অভিযোগ দেওয়ার জন্য সিংগাইর যাওয়া হয়। এসময় আওয়ামীলীগের প্রার্থী মমতাজ বেগমের লোকজন তাদের মোটরসাইকেল বহরে হামলা করে। এতে তাদের ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয় ও ৭/৮ টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। বিষয়টি সিংগাইর থানা ওসি ও রিটানিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, আওয়ামীলীগের লোকজন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভাংচুর করে তাদের উপর দায় চাপাচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভাংচুরের সাথে তার কোন লোকজন ছড়িত নয়। এটি আওয়ামীলীগের সাজানো ঘটনা।
এদিকে সিংগাইর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান জানান, শুক্রবার পৌর এলাকায় ১শ থেকে দেড়শ মোটরসাইলে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনা করেন বিএনপি প্রার্থী মঈনুল ইসলাম শান্ত। বিকেল ৫টার দিকে সিংগাইর পৌরসভার কাছে তাদের নির্বাচনী প্রধান ক্যাম্পে হামলা চালায় মোটরসাইল বহর থেকে। এর পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদে নৌকার পক্ষে মাইকিং চলার কারণে বিএনপি লোকজন মুক্তিযোদ্ধা সংসদে আসবাবপত্র ভাংচুর ও বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার ছবিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা চলে যাওয়ার সময় তাদের দুটি ব্যানার ফেলে গেছে। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আগের রাতে বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের বায়রা নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। এসব করে বিএনপি নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করছে।
এব্যাপারে সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) খন্দোকার ইমাম হোসেন, বিএনপির ও আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে মৌখিক ভাবে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালের কাগজ/প্রতিবেদক/জা.উ.ভি