নিজস্ব প্রতিবেদক:১৫ ডিসেম্বর,শনিবার ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ ( সিংগাইর হরিরামপুর) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও সাবেক সাংসদ এস এম আবদুল মান্নানের গাড়ি বহরে স্থানীয় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার হরিরামপুর উপজেলা সদরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয় এক সংবাদকর্মীসহ ওই প্রার্থীর কমপে আটজন কর্মী আহত হয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
হামলায় আহত নেতা-কর্মীরা হলেন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন খান, সিঙ্গাইর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক আবদুস সালাম, যুব সংহতির সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন, হরিরামপুর উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক শরীফুল ইসলাম, আবদুল মান্নানের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) রাসেল আল-মামুন, ছোট ভাই বাবুল হোসেন ও গাড়িচালক আওলাদ হোসেন। এ ছাড়া এ ঘটনায় স্থানীয় দৈনিক ‘আমার নিউজে’র স্টাফ রিপোর্টার শুভঙ্কর পোদ্দারের মাথায় রক্তাক্ত জখম হয়েছে। তাঁরা বিভিন্ন কিনিক থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
দলীয় এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা বাজার ও মাচাইন বাজারে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আবদুল মান্নানের গণসংযোগ করার কথা ছিল। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বেলা একটার দিকে তাঁর মোটরসাইকেল ও গাড়ি বহর হরিরামপুরের কান্ঠাপাড়া এলাকা পৌঁছালে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী সেখানে বাধার সৃষ্টি করেন। পরে সেখান থেকে বহর নিয়ে ঝিটকা বাজারে যাওয়ার পথে হরিরামপুর উপজেলা যুবলীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে বহরে হামলা করেন। এ কারণে তাঁর পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি পালন করতে পারেননি।
আবদুল মান্নান অভিযোগ করেন, উপজেলা চত্বরে পৌঁছার পরই উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আমিনুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন যুবলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁর গাড়ির কাচ ও দুই-তিনটি মোটারসাইকেল ভাঙচুর করে। এ সময় হামলায় তাঁর ১৫-২০ জন সমর্থক ও কর্মীকে আহত হন। এ ঘটনা তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করবেন বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে যুবলীগের নেতা আমিনুর রহমান বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে যুবলীগ, ছাত্রলীগ কিংবা আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত নয়। জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে এই ঘটনা কিংবা বিএনপির লোকজন এই হামলা করতে পারে বলে তিনি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান বলেন, মৌখিক ভাবে অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালের কাগজ/প্রতিবেদক/জা.উ.ভি