সুত্র জানায়, বাদীর প্রতিবেশি আব্দুল বারেকের একটি শ্যালো মেশিন সেচ দেওয়ার জন্য পাশে এলাকার সান্দিকোনা ইউপির হারারকান্দি গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ও মামলার ১১ নম্বর আসামী তৌহিদ মিয়া ভাড়া নেয়। পরবর্তীতে শ্যালো মেশিন ফেরত দিলেও মেশিনের তেলের টাঙ্কীটা ফেতর দেননি। এই নিয়ে তাদের মাঝে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। বিষয়টি মিমাংসার লক্ষে গত ২৬ মার্চ বিকালে স্থানীয় একতা বাজারে শালিস বৈঠক বসেন স্থানীয় মাতাব্বরগণ। বৈঠকের শেষপ্রান্তে এসে শালিসকারীদের সিদ্ধান্তকে না মেনে উত্তেজিত হয়ে পড়ে বিবাদীরা। এক পর্যায়ে মামলার ৭ নম্বর আসামী ইছাক আলীর (৫১) হুমুমে বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্রাদি বের করে বাদী পক্ষের লোকজন ঘিরে ফেলে এবং প্রধান আসামী মাহমুদুল হাসান নিহতের বুকে কিরিচ দিয়ে আঘাত করলে নিহত রমজান মিয়া মাটিতে পরে গেলে অন্যান্য বিবাদীরা এলোপাথাড়ি বাইরিয়ে ভিকটিমসহ কয়েকজনকে গুরুতর আহত করে। পরে তাদের আত্মচিৎকারে আশেপাশে লোকজন ছুটে বিবাদীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীরা আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ২৭ মার্চ বিকাল আড়াইটার দিকে রমজান মিয়ার মৃত্যু হয়। ওইদিন থানা পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে চারজনকে আটক করে। মামলা দায়ের পর তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
কেন্দুয়া থানার পেমই তদন্তকেন্দ্রের ওসি (তদন্ত) সাখাওয়াত হোসেন জানান,কাঠমিস্ত্রি রমজান মিয়ার খুনের প্রধান আসামী মাহমুদুল হাসানকে র্যাব ১৪ গ্রেপ্তার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।