Logo
ব্রেকিং :
টাঙ্গাইলের মধুপুরে বারোয়ারী মন্দিরে অগ্নিকান্ড পাল্টাপাল্টি অভিযোগ! অসুস্থতার ছুটি নিয়ে স্বামীর নির্বাচনী প্রচারণায় স্কুল শিক্ষিকা নগরকান্দায় গভীর রাতে আগুনে পুড়লো ৪ টি দোকান সিরাজগঞ্জে বয়লার বিস্ফোরণে এক শ্রমিক নিহত ফরিদপুরে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত নাগরপুরে কিশোরগ্যাংয়ের হামলায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মৃত্যু শয্যায় টাঙ্গাইল স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পথচারী, রিক্সাচালকদের মাঝে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত সুলতান সালাউদ্দিন টুকু’র জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ মিছিল করেছে যুবদল টাঙ্গাইল পৌরসভায় ১৩৭ বছরেও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি দুই প্রবেশ মুখে ময়লার ভাগাড় দুর্গন্ধের সাথে শহরে প্রবেশ হুমকিতে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ
নোটিসঃ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : আলহাজ্ব এ.এম নাঈমূর রহমান দূর্জয় ,সম্পাদক ও প্রকাশক মো: জালাল উদ্দিন ভিকু,সহ-মফস্বল সম্পাদক মো: জাহিদ হাসান হৃদয়

ঘোড় দৌড়ে অনন্য সোয়ারী কন্যা সোনিয়া

রিপোর্টার / ১৫৫ বার
আপডেট সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৩

 মুক্তার হাসান,টাঙ্গাইল থেকে:১৬ জানুয়ারি-২০২৩,সোমবার।

হালকা পাতা গড়ন। গায়ে সেলোয়ার-কামিজের সাথে একটা কাঁঠালী রঙের সোয়েটার পড়া। চোখ দু’টো ছোট ছোট। ঘোড় দৌড় মাঠের বৃত্তে ভেতরে দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ চোখে পড়ে। এগিয়ে যাই। সে কেন এসেছে? জানাতে চাওয়ার সাথে সাথে বলে দেয়, সে ঘোড়া দৌড়ায়। তার নাম সোনিয়া খাতুন। বয়স (১২)। বলছিলাম টাঙ্গাইলের মধুপুরে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন কন্যা সোনিয়ার কথা।

সোনিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায়, তার বাবা মতিউর রহমান। বাড়ী চাপাইনবাবগঞ্জে। ছোট বেলা থেকে ঘোড়া পালেন তার বাবা। জন্মের পর থেকেই সে ঘোড়া দেখে আসছে। তাদের বাড়িতে ঘোড়া থাকার সুবাদে প্রতিনিয়ত ঘোড়ার খাবার দেয়াসহ নানা কাজে ঘোড়া দেখে তার ভয় জয় হয়। ছোট বেলা থেকে বাবার সাথে নানা জেলায় ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতায় নিত্য যাতায়াত। ছেলেরা ঘোড়া দৌড়ায় দেখে তার মনে সাধ জাগে, সেও ঘোড়ায় চড়ে ছেলেদের মতো দৌড়াবে। বাবার উৎসাহে শুরু করে ঘোড়ায় চড়া ও দৌড়ানো। আস্তে আস্তে নিজেকে দৌড়ে মানিয়ে তোলেন। এভাবেই সোনিয়ার ঘোড় দৌড়ে আসা।
সোনিয়ার বাড়ি চাপাইনবাবগঞ্জ। সে স্থানীয় একটি মাদরাসায় অষ্টম শ্রেনীতে অধ্যয়ন করে। পড়াশোনার পাশাপাশি তার বাবার সাথে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘোড় সোয়ারী হিসেবে কন্টাক্টে যায়। দৌড় প্রতি পান দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা।
সোনিয়া আরো জানায়, ছেলে যদি পারে তাহলে মেয়েরা পারবে না কেন? এমন নিরন্তর চেষ্টা ও মনোবাসনা থেকে সময়ের পরিক্রমায় সে এগিয়ে যাচ্ছে। পড়াশোনার পাশাপাশি সে ভবিষ্যতে দেশ সেরা একজন ঘোড় সোয়ারী কন্যা হতে চান। হতে চান একজন চাকুরিজীবী। করতে চান দেশের সেবা। বড় হয়ে বাবা মার মুখ উজ্জ্বল করতে চান এ সোয়ারী কন্যা।
এ প্রতিযোগিতায় শখ থেকে ঘোড়া কিনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় যান এক মেম্বার। তার ঘোড়া দৌড়াতে সোনিয়া এসেছেন টাঙ্গাইলের মধুপুরের আকাশী গ্রামে। স্থানীয় আকাশী বিলে প্রতি বছরের ন্যায় ১৪ জানুয়ারি শনিবার শীতের কুয়াশা ভেজা বিকেলে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতায় সে এসেছে ঘোড় সোয়ারী হিসেবে। তাকে তিন হাজার টাকা দিবে ঘোড়ার মালিক ঐ মেম্বার। এ প্রতিযোগিতায় সোনিয়া সেরা সোয়ারীর হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সোনিয়া চ্যাম্পিয়ন হওয়ার তার চোখে মুখে যেন আনন্দের বন্যা বইছে।
সোনিয়ার বাবা মতিউর রহমান জানান, বাড়িতে ঘোড়া পালনের সুবাদে সোনিয়ার ঘোড় দৌড়ে এগিয়ে আসা। মুলত তার উৎসাহে ঘোড় সোয়ারী হয়ে উঠা। তিনি জানান, এ পর্যন্ত সোনিয়া প্রায় তিন শতাধিক ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে অনেক বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এ জন্য সে খুব খুশি। তার আশা ঘোড় সোয়ারীর পাশাপাশি পড়াশোনার করে সোনিয়া একদিন মানুষের মত মানুষ হবে এমনটাই প্রত্যাশা তার বাবা মতিউর রহমানের।

 

 


এ জাতীয় আরো খবর
Tech Support By Nagorikit.Com