Logo
ব্রেকিং :
নগরকান্দায় শ্রমজীবীদের মাঝে, ছাতা, গেন্জি ও গামছা বিতরণ গোয়ালন্দের পদ্মা-যমুনা নদীতে নৌ-দস্যুতার অভিযোগ জেলেদের  নির্বাচনের আগে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের  গোপন বৈঠকের মাস্টারমাইন্ড  বরখাস্ত  নাগরপুরে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার রাজপথে, প্রতিবাদ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত  সিরাজগঞ্জে খেলতে গিয়ে বালির গর্তে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু  সিরাজগঞ্জে জিনের বাদশা প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য মূর্তিসহ  গ্রেফতার  সিরাজগঞ্জে বাড়ি ভাড়া নিয়ে এনজিও খুলে টাকা পয়সা নিয়ে উধাও  চলতি মৌসুমে টাঙ্গাইলে বোরো ধান কাটা শুরু নেত্রকোনায় শতকন্ঠে রবীন্দ্রনাথ সিরাজগঞ্জের জানপুরে জমি নিয়ে বিরোধে হামলা মারপিট বাড়িঘর ভাংচুর  ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ 
নোটিসঃ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : আলহাজ্ব এ.এম নাঈমূর রহমান দূর্জয় ,সম্পাদক ও প্রকাশক মো: জালাল উদ্দিন ভিকু,সহ-মফস্বল সম্পাদক মো: জাহিদ হাসান হৃদয়

দাম বাড়েনি মনোহরদীর মানুষ বিক্রির বাজারে

রিপোর্টার / ৭৮ বার
আপডেট শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৩

তারেক হোসেন তালাশ,মনোহরদী প্রতিনিধি,নরসিংদী:২৮ জানুয়ারি-২০২৩,শনিবার।

মনোহরদী পৌর বাসট্যান্ডে প্রতিদিন ভোরে হাটের মতো দামাদামি করে বিক্রি হয় মানুষের শ্রম। টাকার বিনিময়ে এক দিনের শ্রম বিক্রি করতে সেখানে জড়ো হন শতাধিক মানুষ। নরসিংদীর সহ আশপাশের জেলা কিশোরগঞ্জ,নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, গাজীপুর,অন্যান জেলা থেকে আসা শ্রমিকরা কর্মের সন্ধানে জড়ো হতে থাকেন এই বাজারে।প্রতিদিন ৩৫০-৫০০ শ্রমিক ভিড় করেন এই  শ্রম বিক্রির বাজারে।

শনিবার সকালে মানুষ বিক্রির সেই শ্রম বাজারে একাধিক শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে এখন সব কিছুর দাম বাড়লেও শুধু তাদের শ্রমের মূল্য বাড়েনি, বরং কমছে।

তারা আরও জানান, বর্তমানে তারা দৈনিক ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে সারা দিনের শ্রম বিক্রি করছেন। যা কয়েক মাস আগেও তারা ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হতেন।

একদিকে শ্রমের দাম কমে আসা, অন্যদিকে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন দৈনিক মজুরির শ্রমিকরা।
আবার বেকার লোকের সংখ্যা বেশি থাকায় প্রতিযোগীতা করে আরো কম দামেরও বিক্রি হচ্ছে শ্রমিকরা । সকাল ৮টায় পর অনেকে কাজ না পেয়ে কর্মহীন বাড়ি ফিরতেও দেখা গেছে। কেউ  একজন শ্রমিককে নিতে আসলে সেখানে ১০-১২ জন গিয়ে কাজে নেয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছেন ক্রেতাদের । এসকল শ্রমিকদের ফসলি জমি,নির্মাণক্ষাত সহ যেকোন কাজ করানো যায়।

ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে আসা শ্রমিক আবুল কালাম বলেন,আমার পাঁচজনের সংসার। এর মধ্যে তিন ছেলেমেয়ে স্কুলে পড়ে। এখন যে আয় হচ্ছে, তাতে সংসারই চালাতে পারছি না। মনোহরদী পৌর এলাকায় থাকা-খাওয়ার খরচ মিটিয়ে বাড়িতে টাকা পাঠানো অসাধ্য কর হয়ে উঠেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালাতেও খুবই মুশকিলে আছি। আমাদের কাজের নিশ্চয়তা এবং জীবনের নিরাপত্তা অনিশ্চিত।

শুকুন্দি গ্রামের শ্রম ক্রেতা মোঃ ফারুক বলেন,এ বাজার থেকে চাহিদা মতো শ্রমিক নিয়ে কাজ করিয়ে থাকি, কম মুজুরীতেই লোক পাওয়া যায় চাহিদা মত। তাই বেশি দরে শ্রমিক কেনার প্রয়োজন বোধ করেনা এ বাজারের ক্রেতারা।


এ জাতীয় আরো খবর
Tech Support By Nagorikit.Com