এস এম জহিরুল ইসলাম,গাজীপুরঃ০৭ মে-২০২৩,রবিবার।
যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এর পিতা শ্রমিক নেতা ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। বিভিন্ন আয়োজকরা ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে পক্ষকালব্যাপী এ শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে।
গাজীপুরের হায়দরাবাদ গ্রামে জন্ম নেওয়া জনপ্রিয় নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টারকে ২০০৪ সালের ৭ মে টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শ্রমিক সমাবেশ চলাকালে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী। হত্যাকাণ্ডে তার ছোট ভাই মতিউর রহমান বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইনে এই হত্যা মামলার রায় হয়। এতে মোট ৩০ আসামির মধ্যে প্রধান আসামি বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনকে ফাঁসির আদেশ ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। ২০১৬ সালের ১৫ জুন আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল মামলার আদালতে দেওয়া রায়ে ৬ জনকে ফাঁসি, ৭ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১৫ জনকে খালাস দেওয়া হয়। এ রায় এখনও কার্যকর হয়নি। দিবসটি উপলক্ষে রোববার (৭ মে) সকালে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের নিজ গ্রাম হায়দরাবাদে সমাধিস্থলে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। পরে সমাধি চত্বরে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সভায় বক্তারা আহসান উল্লাহ মাস্টারের জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা করেন।
আলোচনায় অংশ নেন গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মির্জা আজম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান। স্মরণ সভা শেষ শহীদ আহসান মাস্টারের ছেলে ও যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল তাঁর বাবার হত্যাকারীদের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান।