মিজানুর রহমান ,নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :২১ জানুয়ারি-২০২৩,শনিবার।
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের পাচ বিভাগদী গ্রামে স্বামী সুজন মাতুব্বর (৩০) কতৃক স্ত্রী সেলিনা বেগমকে ঘরে আটকিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২০ জানুয়ারী শুক্রবার রাত ৮ টার সময় সুজন মাতুব্বর তার ঘরের দরজা আটকিয়ে টিভির সাউন্ড বাড়িয়ে তার স্ত্রী সেলিনা বেগম (২৫) কে রামদা দিয়ে কুপিয়ে, রামদা’র ঘাড়ি দিয়ে বাইড়াইয়া গুরুতর কাটা জখম করে। মারপিটের এক ফাকে সেলিনা বেগম তার পিতার বাড়িতে জানালে সালথা থানা পুলিশের সহযোগিতা সেলিনা কে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।লমহর্ষক স্বামীর নির্যাতনের কথা কেঁদে কেদে বল্লেন সেলিনা বেগম। সেলিনা বেগম এর পিতার বাড়ির একই উপজেলার বাওয়াল ইউনিয়নের বড় কামদিয়া গ্রামে। তার পিতার নাম হাকিম শেখ। প্রায় নয় বছর আগে সেলিনা বেগম এর বিয়ে হয় আটঘর ইউনিয়নের পাচবিভাগদি গ্রামের মৃত জয়নাল মাতুব্বর এর ছেলে সুজন মাতুব্বর এর সাথে।বিয়ের পর তাদের ঘরে দুই বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সেলিনা বেগম বলেন আমার স্বামী এখন বেকার আগে মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালাতেন তাও বিক্রি করে দিয়েছে। এছাড়া তার স্বামী প্রায় ৭ মাস ধরে পাশের কাকলে খোলা গ্রামে এক বেদেশ ফেরত এক নারীকে বিয়ে করে এবং তার কাবিন নামা এনে ঘরে রাখে।কাবিন নামা দেখে স্বামীকে বিয়ের কথা বলতেই ঘরের দরজা আটকিয়ে টিভির সাউন্ড বাড়িয়ে রামদা দিয়ে কুপিয়ে, বাইড়ায়। রামদা পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এবিষয় সেলিনা বেগম বলেন আমরা থানায় অভিযোগ করেছি।
সেলিনার স্বামী সুজন মাতুব্বর বলেন আমাদের মধ্যে জগড়াঝাটি হয় মাজে মধ্যে, ঘটনার দিন রাতে বাড়িতে গিয়ে দেখি সে ঘরে নাই ঘুড়দিয়া গিয়ে খুজেছি পরে শুনি সে হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হযেছে।