Logo
ব্রেকিং :
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু’র জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ মিছিল করেছে যুবদল টাঙ্গাইল পৌরসভায় ১৩৭ বছরেও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি দুই প্রবেশ মুখে ময়লার ভাগাড় দুর্গন্ধের সাথে শহরে প্রবেশ হুমকিতে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রাণীশংকৈলে ৫ দিন পর মানসিক প্রতিবন্ধির অর্ধ গলিত লাশ ভূট্টাক্ষেত থেকে উদ্ধার  নাগরপুরে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত নাগরপুরে পথচারীদের বিশুদ্ধ পানি দিয়েছে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা নাগরপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কে কুপিয়ে হত্যা আটক ৬  টাঙ্গাইলে সবজি ক্ষেতে পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষক লালমাটি যাচ্ছে ইটভাটায় টাঙ্গাইলের পাহাড়ি টিলা হচ্ছে সমতল ভূমি! সিরাজগঞ্জে প্রচন্ড তাপদাহের  কারনে জেলা  বিএনপি’র  বোতলজাত পানি, স্যালাইন ও শরবত বিতরণ   নগরকান্দা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষতি
নোটিসঃ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : আলহাজ্ব এ.এম নাঈমূর রহমান দূর্জয় ,সম্পাদক ও প্রকাশক মো: জালাল উদ্দিন ভিকু,সহ-মফস্বল সম্পাদক মো: জাহিদ হাসান হৃদয়

টাঙ্গাইলে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত কামারপল্লী

রিপোর্টার / ১২৬ বার
আপডেট মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২

মুক্তার হাসান,টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:০৫ জুন-২০২২,মঙ্গলবার।

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ উল আজহা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে তাই চাকু, বটি, ছুরিসহ মাংস কাটাকাটিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের কামারপল্লীর বাসিন্দারা। শুরু হয়েছে টুংটাং শব্দ। তবে কয়লা, লোহা ও শ্রমিকদের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় কপালে চিন্তার ছাপ পড়েছে এ পেশায় জড়িতদের। সরেজমিনে টাঙ্গাইল ও ভূঞাপুর শহরের কাগমারী পাড়া, গোবিন্দাসীসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঈদকে কেন্দ্র করে গমগমে আগুনে লোহা লাল করায় ব্যস্ত বেশির ভাগ কামার। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছেন তারা। দম ফেলারও সময় নেই তাদের। সবাই কোরবানির পশু জবাই করার দা, বটি, ছুরি, চাপাতিসহ বিভিন্ন উপকরণ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এদিকে কামারদের কাছে মাংস কাটাকাটির উপকরণ কিনতে ভিড় করতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। এছাড়া অনেকেই কামারদের কাছে পুরাতন উপকরণ মেরামতের জন্যও নিয়ে আসছেন। এছাড়াও দর কষাকষিতে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের। কামাররা জানান, স্বাভাবিক সময়ে তাদের তেমন কাজ না থাকলেও কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। কয়লা, লোহা ও শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকরণেরও দাম বেড়েছে। বর্তমানে পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১২০ থেকে ২৫০ টাকা, দা ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা, বটি ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পশু জবাইয়ের ছুরি ৫৫০ থেকে ২ হাজার টাকা, চাপাতি ৬০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কামাররা আরো জানান, ‘স্বাভাবিক সময়ে যেসব দোকানে দুই জন শ্রমিক কাজ করতো, এখন সেসব দোকানে ৫-৬ জন শ্রমিক কাজ করছেন। ভূঞাপুর এলাকার বীরহাটি গ্রামের রাজা চকদার বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে যে চাপাতির দাম ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, ঈদ উপলক্ষে সেই চাপাতি কিনেছি ৮৫০ টাকা দিয়ে। এছাড়াও পুরাতন দা ও ছুরি শাণ করানোর মজুরি আগের চেয়ে বেশি নিয়েছে কামাররা।’ গোবিন্দাসী বাজার এলাকার কামার নির্মল কর্মকার বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বর্তমানে আমাদের কাজের চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। এছাড়াও উপকরণের দামও বেড়েছে। উপকরণের দাম ও আমাদের মজুরি বাড়ার কারণ হচ্ছে আগে এক বস্তা কয়লার দাম ছিলো সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা। সেই কয়লার দাম বর্তমানে ১ হাজার ২০০ টাকা। এছাড়াও আগে এক কেজি লোহার দাম ছিলো ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বর্তমানে সেই লোহার দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। এবছর বেচাবিক্রি তেমন ভালো না। জানিনা করোনার প্রভাবটা কাটিয়ে উঠতে পারবো কিনা।”
২.


এ জাতীয় আরো খবর
Tech Support By Nagorikit.Com