নিজস্ব প্রতিবেদক::১৩ আগস্ট-২০২২,শনিবার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন এমপি বলেছেন, দেশে নবজাতকের মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলা হাসপাতালে স্পেশাল নিউনেটাল কেয়ার ইউনিট (স্ক্যানো) চালু করা হবে ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেন, ‘দেশে প্রতি হাজারে প্রায় ৩০ থেকে ৩২জন শিশু মারা যায়। এই মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি জেলা হাসপাতালে স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ণ ইউনিট(স্ক্যানো ইউনিট) চালু করা হবে। এতে নবজাতকের মৃত্যুর হার অনেক কমে যাবে।
আজ শনিবার দুপুরে জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনালের হাসপাতালে নবজাতকদের বিশেষায়িত সেবায় স্ক্যানো ইউনিট উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেন, ‘অপরিপক্ক ও নানা রোগে আক্রান্ত নবজাতকদের বিশেষায়িত সেবার জন্য স্ক্যানোতে রাখতে হয়। এই স্ক্যানোতে বিশেষায়িত সেবার ফলে নবজাতক সুস্থ হয়ে ওঠে। এসডিজি লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদেরকে শিশু মৃত্যুর হার ১০ শতাংশে কমিয়ে আনতে হবে। সেই ধারাবাহিকতায় সারা দেশে প্রায় ৫০টি হাসপাতালে এই বিশেষায়িত সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমের দেশের প্রতিটি জেরা হাসপাতালে স্ক্যানো ইউনিট চালু’ করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেন, ‘যারা এখনও ভ্যাকসিন নেননি, তাঁরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা কার্যক্রম শেষ হবে। এরপর আর বুস্টার ডোজ নেওয়া সম্ভব হবে না। সকলকেই টিকা নিতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি এখন ভালো আছে। কোভিডে মৃত্যুর হার প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে এবং আক্রান্তের হার ৪ ভাগের নিচে নেমে এসেছে। তবে এখনও অনেকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেননি। দ্বিতীয় ডোজ ৯০ লাখ মানুষ নেয়নি। এ ছাড়া বুস্টার ডোজ মাত্র ৪ কোটি মানুষ নিয়েছে। কেউ প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ না নিলে বুস্টার ডোজ পাবেন না।
তিনি আরও বলেন, ‘৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা প্রদান পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে। আগামী ২৫ আগস্ট থেকে সিটি কর্পোরেশনগুলোতে টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশেই স্কুলগুলোতে শিশুদের টিকা দেওয়া হবে। নিবন্ধন ছাড়া শিশুকে টিকা দেওয়া যাবে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বাড়ায় সারাদেশেই জনবলের প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় নতুন জনবল কাঠামো তৈরি করে জনবল নিয়োগ দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কোভিডের মধ্যে ১৫ হাজার চিকিৎসক এবং ২০ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রয়োজন অনুযায়ি সব হাসপাতালে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।
পরে হাসপাতালের মিলনায়তনে স্ক্যানো ইউনিট উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভা হয়। সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, সেভ দ্যা সিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর অনো ভ্যান ম্যানেন, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দনি, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, পৌর মেয়র মো: রমজান আলীসহ স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।