মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৯:০২ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ

দৌলতপুরে ৫ কোটি টাকার সেতু মই বেয়ে উঠতে হয় সেতুতে

প্রতিনিধির নাম:
  • আপডেট করা হয়েছে: রবিবার, ৭ মে, ২০২৩
  • ২১৬ দেখা হয়েছে:

 

নিজস্ব প্রতিবেদক::০৭ মে-২০২৩,রবিবার।

সংযোগ রাস্তার অভাবে প্রায় দুই বছর আগে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ সম্পন্ন হওয়া মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায তালুকনগর এলাকার সোবান মোল্যার বাড়ির নিকট খালের ওপর সেতুটি কোন কাজেই আসছেনা।

এজন্য এই এলাকার বাসিন্দাদের দশ মিনিটের রাস্তা ঘুরে আসতে হচ্ছে দেড় ঘন্টার পথ। এতে করে সাধারণ মানুষ ছাড়াও বিপাকে পরেছে স্কুল-কলেজের শির্ক্ষাথী এবং কৃষক। বর্তমানে সেতুটি ব্যবহার না হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা সেতুর উপরে তাদের শস্য শুকাচ্ছেন।
দৌলতপুর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে , দৌলতপুর ও পার্শবর্তী নাগরপুর উপজেলার মানুষ ও কৃষকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রায় দুই বছর আগে ৪ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তালুকনগর সোবানের বাড়ির নিকট খালের ওপরে ৫৪ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৭.৩ মিটার প্রস্থের একটি সেতু নির্মান করা হয়। কিন্তু সেতু নির্মানের সাথে সংযোগ সেতু নির্মানের বাজটে না থাকায় তখন শুধুমাত্র সেতুটি নির্মান করা হয়। সেতুর সংযোগ রাস্তা নির্মানের জন্য আরো ৫ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকার বরাদ্ধ চেয়ে পাঠিয়েছে বিভাগটি।
বর্তমানে সংযোগ সড়ক না থাকায় এবং খালটি শুকিয়ে যাওয়ায় সেতুর নিচ দিয়ে যাতায়াত করছে স্থানীয়রা। অপর দিকে বর্ষা মৌসুমে লোহার মই বেয়ে সেতুটি ব্যবহার করতে হয় এলাকাবাসীকে।
তালুকনগর এলাকার আব্দুস সাত্তার জানান, সাধারন মানুষের যাতায়ত ও অর্থনৈতিক উন্নয়ণের জন্য ব্রিজ করল কিন্তু আমরা তো ব্রিজে উঠতে পারলাম না। সামনে আবার বর্ষা কাল আসতেছে, বর্ষার আগে মাটি ফাইলালে সবার উপকারে আসবো। সরকার দ্রুত বেগে কাজটা করে দিলে উপহার হবে। না হলে কোটি টাকার ব্রিজটা এক টাকারও কাজে আসবে না।
একই এলাকার মোশারফ হোসেন জানান, নদী পার হলেই বাজার, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা আছে। মানুষজন হাট-বাজারে যায়, ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যায়। সবার মনে আশা ছিল, সেতু হলে সবাই হাসি-খুশিতে আসা-যাওয়া করতে পারবো। রিকশা, ভ্যান ও রোগীদের গাড়ী যেতে পারবে। এতে করে সবার উপকার হবে। কিন্তু সেটা আর হলনা, মনের আশা মনেই রইল। সেতু হইছে কিন্তু রাস্তার কারনে সেতুতে উছতে পারিনা।
স্থানীয় বাসিন্দা আওদাল হোসেন বলেন, মাঝেমধ্যে শুনি উপজেলা ইঞ্জিনার, ইউএনও, চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন ধরনের লোকজন আইস্যা দেইখা যাইতেছে। কিন্তু আমাগো কাজ তো হইতেছে না। ব্রিজ হওয়ার আগে তো বাঁশের পুল দিয়ে আসা-যাওয়া করতে পারতাম। এখন তো সেই কামও বন্ধ হইয়া গেছে। স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার পোলাপান নিয়ে খুব বিপদে আছি আমরা।

স্থানীয় কলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও তালুকনগর গ্রামের বাসিন্দা মো: জাকির হোসেন জানান, সেতুতে উঠার জন্য মাটি না থাকায় গত বর্ষায় ঠিকাদারের কাজের লোহার পাত দিয়ে মই বানিয়ে লোকজন সেতু দিয়ে পার হয়েছে। আর শুষ্ক মৌসূমে ব্রিজের নিচ দিয়ে আসা-যাওয়া করছে । দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থায় রয়েছে সেতুটি।

দৌলতপুর উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ ইরাজ উদ্দিন দেওয়ান বলেন, স্থানীয়দের চাহিদা ও গুরুত্বের ভিত্তিতে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে তালুকনগরের খালের ওপরে একটি সেতু নির্মান করা হয়। সেতু নির্মানের দীর্ঘদিন পর সংযোগ সড়কের জন্য ৫ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকার বাজেট চেয়ে পরিকল্পনা পাঠানো হয়েছে। পরিকল্পনা ও বরাদ্ধ পাশ হলে সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মান করা হবে। সরেজমিনে দেখার জন্য অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মহোদয় আসার কথা রয়েছে।
#####

আর্টিকেলটি শেয়ার করুন:

এই ক্যাটাগরির আরো খবর
© All rights reserved ©
themesba-lates1749691102